বনগাঁ থানার ভরতপুর কালিতলা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতীকী ছবি।
প্রতিবেশীর জন্মদিনের পার্টিতে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছিল এক যুবতীকে। রাতে সেই পার্টির শেষে যুবতীর মামাবাড়ির সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তিন যুবক। পুলিশের কাছে এ অভিযোগই করেছেন ওই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ঘটনার পর সংজ্ঞাহীন ও আহত অবস্থায় যুবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা অধরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বনগাঁ থানার ভরতপুর কালিতলা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে ওই যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তিন অভিযুক্ত শোভন রায়, দেবব্রত রায় ওরফে ছোট্টু এবং সুজিত বিশ্বাসের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলছে। পেশায় বিউটিশিয়ান বছর বাইশের ওই যুবতীর বাড়ি ভরতপুর এলাকায়। তাঁর বাবা প্রদীপ বিশ্বাস ভিন্ রাজ্যে কাজ করেন৷ মায়ের সঙ্গে গোবরা পুর এলাকায় থাকেন ওই যুবতী।
পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুজোর মেলা উপলক্ষে সম্প্রতি ওই যুবতী ভরতপুরে তাঁর মামার বাড়ি বেড়াতে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানকার এক প্রতিবেশী যুবক সুদীপ বিশ্বাসের জন্মদিনের পার্টিতে কয়েক জন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গিয়েছিলেন তিনি। সে পার্টিতে তিন অভিযুক্তও ছিল। সুদীপ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্ধুরা জন্মদিনের কেক নিয়ে বাড়িতে এসেছিল। পার্টিতে আমরা জনা দশেক ছিলাম। ওই তিন জন (অভিযুক্ত) বিয়ারও এনেছিল। খাওয়াদাওয়াও হয়েছিল। অনেকের মতো ওই মেয়েটিও মদ্যপান করেছিল। রাত ৯টা নাগাদ বন্ধুরা বাড়ি চলে গেলে ভাই ও এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়েটিকে তাঁর মামাবাড়ির সামনে ছেড়ে আসি।’’
ভরতপুরের আমবাগানে এই ঘরের মধ্যে যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
পরিবারের অভিযোগ, মামাবাড়ির সামনে থেকেই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায় তিন যুবক। ওই পার্টিতে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছিল যুবতীকে। পার্টির পরে রাতে সুদীপ তাঁকে ছেড়ে যাওয়ার পর সেখানে আসে তিন অভিযুক্ত। এর পর যুবতীকে তুলে নিয়ে এলাকার আমবাগানে একটি ঘরের মধ্যে তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করে তিন জন৷ যুবতীর মামা অমল বিশ্বাসের দাবি, ‘‘ভাগ্নী আমাকে বলেছে যে জোর করে নেশা করিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছে ওই তিনটি ছেলে।’’
অনেক রাতেও যুবতী বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে মামাবাড়ির লোকজন৷ এর পর আমবাগানে একটি ঘরের মধ্যে তাঁকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করে। রাতেই ভরতপুর এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়। ওই যুবতী বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।