পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মবিরতি। নিজস্ব চিত্র।
তল্লাশির নামে দুর্ব্যবহার করছে বিএসএফ। এমনকি তারা কাজে সহযোগিতাও করে না। বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মবিরতি শুরু করলেন সেখানকার আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশন এবং পরিবহণ ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন। এর জেরে সোমবার সকাল থেকে থমকে গিয়েছে সীমান্ত বাণিজ্য।
সম্প্রতি পেট্রাপোল চেকপোস্ট এলাকা দিয়ে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি ও লরি চালক চোরাচালান করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন বিএসএফ-এর হাতে। তার পর থেকেই কড়াকড়ি শুরু করেছে বিএসএফ। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পণ্য আমদানি এবং রফতানির লরিগুলির পারাপারের চালান তৈরি-সহ একাধিক কাজ করেন ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্সিগুলির কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, তল্লাশি চালানোর নামে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন বিএসএফ জওয়ানরা। হেনস্থা করছেন। আটকে থাকা গাড়ির টাকা নিয়ে যেতে বাধার সৃষ্টি করছেন। যার জেরে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে পেট্রাপোলের শুল্ক দফতর এবং আইসিপি (ইন্টারন্যাশনাল চেক পোস্ট) কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেই জন্য সোমবারে কাজে যোগ না দিয়ে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানিয়েছেন। আইসিপি তিন নম্বর গেটের সামনে মাইক বেঁধে কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।
কর্মবিরতির বিষয় নিয়ে সিডব্লিউসি (সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজ কর্পোরেশন)-এর ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টদের কিছু দাবি থাকার কারণে তাঁরা কাজে যোগ দেননি। যার জেরে পেট্রাপোল সীমান্তে বন্ধ রপ্তানি।’’ রফতানি বন্ধ থাকলেও আমদানির কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন তিনি।