প্রতীকী চিত্র
পনেরো বছর নিখোঁজ থাকার পড়ে এক মহিলাকে ছত্তিশগড় থেকে বাড়ি ফেরাল পুলিশ। ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টালের দক্ষিণ শিবপুর কয়লাঘাটা গ্রামের লক্ষ্মী পারুই বসিরহাটে দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যান। আর খোঁজ মিলছিল না। সেই লক্ষ্মীই রবিবার বাড়ি ফিরেছেন প্রায় পনেরো বছর বাদে।
পুলিশ জানায়, ৭ জুলাই ২০২০ ছত্তিশগড় থেকে ওই মহিলার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয় রাজ্য সরকারকে। সেই মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আদালতের লিগ্যাল সেলকে বিষয়টি জানানো হয়। জেলা বিচার বিভাগকে কাকদ্বীপ আদালতের লিগেল সেল বিবষয়টি জানায়।
তবে সে সময়ে জানা যাচ্ছিল, মহিলার নাম পার্বতী পাড়ি। ঠিকানা, বকখালির কোলাঘাটায়।
বকখালির ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল পুলিশের বিষয়টি নজরে আসার পরে পারুই পরিবারের খোঁজ করতে শুরু করে পুলিশ। কয়েকটি এলাকায় খোঁজ চালানোর পরে দক্ষিণ শিবপুর কয়লাঘাটা গ্রামে গোপাল পারুই নামে এক ব্যক্তির খোঁজ মেলে। পুলিশ তাঁর কাছে জানতে চায়, পরিবারে পার্বতী বলে কেউ নিখোঁজ হয়েছিলেন কিনা।
গোপাল পুলিশকে জানান, ওই নামে তাঁর পরিবারে কেউ নিখোঁজ নেই। তবে লক্ষ্মী নামে তাঁর এক বোন বসিরহাটে দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান পনেরো বছর আগে। পুলিশ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পার্বতীর ছবি সংগ্রহ করে। সেই ছবি পাঠানো হয় বিলাসপুরে। ছবি দেখে বোঝা যায়, লক্ষ্মী ও পার্বতী একই মহিলা।
কয়েক দিন আগে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারির সাহায্যে কাকদ্বীপের এসডিপিও অনিল রায়ের নেতৃত্বে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ওসি রাজু বিশ্বাস কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও মহিলার পরিবারের লোজনকে নিয়ে দিন কয়েক আগে যান বিলাসপুরে। সেখান থেকেই আজ সকালে লক্ষ্মীকে নিয়ে ফিরে আসেন সকলে।
ওসি বলেন, ‘‘ওখান থেকে যে ঠিকানা পাঠানো হয়েছিল, সেখানে কোলাঘাটা, বকখালি লেখা ছিল। কিন্তু ফেসবুকে এলাকায় কোলাঘাটা বলে কোনও গ্রাম নেই। বাধ্য হয়ে দিন কয়েক ধরে গ্রামে গ্রামে গিয়ে পারুই পরিবার দেখে খোঁজ করছিলাম। পরে ওই মহিলার দাদার সঙ্গে আলাপ হয়ে বিষয়টা পরিষ্কার হয়।’’
গোপাল বলেন, ‘‘পুলিশের সাহায্য না পেলে আমার বোনকে কোনও ভাবেই খুঁদে পেতাম না। এত দিন পরে বোনকে ফিরে পেয়ে শুধু আমি নয়, পরিবারের সকলেই খুব খুশি।’’
লক্ষ্মী এত দিন কোথায় কী ভাবে ছিলেন, সে সব খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।