মৃত গৃহবধূ পারমিতা চক্রবর্তী। — নিজস্ব চিত্র।
পুজোর মুখে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে খুন হয়ে গেলেন এক মহিলা। তাঁকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সেই ব্যক্তিও আহত। কথা বলার অবস্থায় নেই। তিনি একটু সুস্থ হলে এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
দিনেদুপুরে মধ্যমগ্রামে মহিলা খুন। জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি পনির বিক্রি করতে এসেছিলেন। সেই সময়ই তিনি মহিলার গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করেন। মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলাকে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে আসে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পারমিতা চক্রবর্তী। বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পুজোর মুখে এমন ঘটনা ঘটল কী করে? পনির বিক্রেতার ছদ্মবেশে কি ওই ব্যক্তি ছিনতাই করতে গিয়েছিলেন? বাধা পেয়েই কি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলাকে আঘাত? মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ পনির বিক্রেতাকে আটক করেছে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বারাসতের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এক জন অভিযুক্তকে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। কিন্তু তিনি আহত অবস্থায় রয়েছেন। বারাসাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার অবকাশ নেই। তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এখন জ্ঞান ফিরলেও কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। অভিযুক্তের হাতে আঘাতের কিছু চিহ্ন রয়েছে। ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন আছে।’’