বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন বধূ। —নিজস্ব চিত্র।
পুত্রবধূকে পছন্দ নয়, তাই ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁকে অপহরণ করানোর অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা।
ওই বধূ জানান, তাঁর বাপের বাড়ি সোনারপুরের বিদ্যাধরপুর এলাকায়। ২০১৫ সালে তাঁর বিয়ে হয় নরেন্দ্রপুর থানার কাদারহাট এলাকায়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পছন্দ করতেন না। বিশেষত শাশুড়ি এবং ননদ তাঁকে অপছন্দ করেন। ২ দিন আগে হঠাৎ করে তাঁর বাড়িতে আসেন কয়েক জন। ‘বারুইপুর এসপি অফিস থেকে আসছি বলে’ তাঁকে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া বলে অভিযোগ। এর পর ২ দিন ধরে বারুইপুরের একটি বাড়িতে বধূকে আটকে রাখা হয়। কোনও ক্রমে তিনি বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পালিয়ে আসেন। যান থানায়। বধূ বলেন, ‘‘শাশুড়ি অপহরণ করিয়েছিলেন। এই কাজের জন্য ২ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়।’’ ওই কাজে আরও কয়েক জন জড়িত বলে দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে৷ ধৃতের নাম পরি মণ্ডল৷ অভিযুক্তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৫, ৪১৯, ৩৮৬ এবং ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ তবে বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷
বধূ জানিয়েছেন, তাঁদের একটি সন্তান আছে। শাশুড়ি এবং ননদ তাঁর স্বামীকে নেশাগ্রস্ত করে রাখতেন। তাঁর কাছে আসতে দিতেন না। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে স্বামী কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন না। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।