—নিজস্ব চিত্র।
মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হলেন ক্যানিংয়ের এক বিধবা। দেওর সম্পর্কিত প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহে তাঁর চুল কেটে পাড়ায় ঘোরানোর অভিযোগ উঠল বিধবার ভাসুর-সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এমনকি, বিধবার সঙ্গে জোর করে ওই যুবকের বিয়ে দিয়ে তাঁদের মারধর এবং পাড়াছাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ভাসুর-সহ আট জনের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাকিরা পলাতক৷
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাবু গ্রামের বাসিন্দা ওই বিধবার দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই ভাসুর পরিতোষ সর্দার-সহ পাড়ার কয়েক জন যুবক তাঁকে নিয়মিত কুপ্রস্তাব দিতেন। তাতে রাজি না হওয়ায় গ্রামছাড়া করারও হুমকি দিতেন তাঁরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে ওই মহিলার স্বামী মারা যান। তার পর থেকে দু’সন্তানকে নিয়ে থাকতেন বিধবা। পুলিশের কাছে ওই বিধবার দাবি, সম্পর্কে দেওর এক প্রতিবেশী যুবক ক্ষুদিরাম সর্দার ইদানীং আর্থিক সাহায্যের জন্য তাঁর কাছে হাত পেতেছিলেন। বৃহস্পতিবার ক্ষুদিরাম তাঁর বাড়িতে এলে ভাসুর-সহ পাড়ার ওই যুবকেরা তাঁদের উপর চড়াও হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করেন। সেই সঙ্গে ক্ষুদিরামের সঙ্গে মহিলার সম্পর্ক রয়েছে বলে পাড়ায় রটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এর পর ক্ষুদিরামের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে তাঁর থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের পর ব্লেড দিয়ে চুল কেটে দেওয়া হয় বলেও তাঁর দাবি। প্রাণে বাঁচতে সেখান থেকে পালিয়ে ক্যানিং স্টেশনে রাত কাটান তাঁরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে যান দু’জনে।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।