ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (পিছনের সারিতে ডান দিক থেকে সপ্তম) সঙ্গে সন্তোষ জয়ী বাংলা ফুটবল দল। ছবি: সংগৃহীত।
সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা দিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে গোটা দল, কোচিং স্টাফ এবং কোচেস কমিটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে এসে বাংলার কোচ সঞ্জয় সেনকে দু’মাস অন্তর শিবির করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পাশাপাশি জয়ী খেলোয়াড়দের মাটিতে পা রাখার পরামর্শও দিয়েছেন।
সন্তোষ জেতার পরেই রাজ্য সরকারের তরফে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন প্রত্যেক ফুটবলার। নিয়োগপত্র পাওয়ার পর এ দিন তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা ছিল সাগর দত্ত হাসপাতালে। সে কারণে অনুষ্ঠানে আসতে কিছুটা দেরি হয় তাঁদের। তবে লাল-হলুদের সংবর্ধনা পেয়ে প্রত্যেকেই আপ্লুত।
বক্তৃতা দেওয়ার সময় অরূপ বলেন, “বাংলার কোচ সঞ্জয় সেনকে অনুরোধ করব, ছেলেগুলো যাতে খেলার মধ্যে থাকে তাই দু’মাস অন্তর একটা শিবির করুন। যা সাহায্য দরকার রাজ্য সরকার করবে। দু’মাস অন্তর সাত দিন বা এক মাস অন্তর শিবির করলে প্রত্যেকে খেলার মধ্যে থাকবে।” আইএফএ কি অরূপের সঙ্গে একমত? সচিব অনির্বাণ দত্ত বললেন, “অবশ্যই এমন উদ্যোগ স্বাগত। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে দেখি। সম্ভব হলে নিশ্চয়ই শিবির করা যেতে পারে। রাজ্য সরকার সব সময়েই সাহায্য করতে চায়।”
অরূপ আরও বলেছেন, “এই মুহূর্তে বাংলার সেরা কোচ সঞ্জয় সেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, সাফল্য পাওয়া সহজ, ধরে রাখা কঠিন। ছেলেদের বলব, তোমরা সবে মাধ্যমিক পাশ করেছো। এখনও অনেক দূর যেতে হবে। আইএসএল, আই লিগে খেলতে হবে। দেশের হয়ে খেলব, এই লক্ষ্য না থাকলে কখনও সফল হতে পারবে না।”
সন্তোষ জেতার পর তাঁর মস্তিষ্ককে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে সঞ্জয় কোনও কৃতিত্বই নিতে চাইলেন না। বললেন, “সব কৃতিত্ব ছেলেদের। আমাদের ১৮ দিনে আটটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। তার মধ্যে ছ’টা কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। সাতটা জিতেছি। কোন দল এই কাজ করে দেখাতে পারবে জানি না। এই ছেলেরা পেরেছে। তবে ওদের বলব, এত সম্মান পাচ্ছ। কিন্তু মাথা ঘুরে গেলে চলবে না।”