—প্রতীকী ছবি।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে আরএসপির সমর্থন নিয়ে বাসন্তীর উত্তর মোকামবেডিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। কিছু দিন বাদে দুই বিজেপি প্রার্থী ও এক আরএসপি প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়ে তৃণমূলের দখলে যায়। এ বার এই পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। কারা বোর্ড গঠন করবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
গত বার ১৪টি আসন থাকলেও ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এ বার উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৭টিতে। বিজেপি ৬টি, আরএসপি ৫টি ও নির্দল ১টি আসনে জিতেছে। তৃণমূল বা বিজেপি যে-ই বোর্ড গঠন করুক, আরএসপির সমর্থন প্রয়োজন। এ দিকে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে আরএসপি এখনও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
তৃণমূল জোর গলায় বলছে, এ বারও তারাই বোর্ড গঠন করবে। তবে কী ভাবে, তা স্পষ্ট নয়। বাসন্তী ব্লক তৃণমূলের নেতা রাজা গাজি বলেন, “বোর্ড আমরাই গঠন করব। যে দিন বোর্ড গঠন হবে, সে দিন দেখে নেবেন। প্রার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই আর কিছু বলব না।”
বিজেপিরও দাবি, তারাও বোর্ড গঠন করবে। বাসন্তী ব্লকের বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, “গত বার বামফ্রন্ট ও নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছিলাম। আশা করি,
এ বারও ওঁরা আমাদের পাশে থাকবেন।”
তবে পুরো বিষয় নিয়ে আপাতত চুপ আরএসপি। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের তরফে কোনও নির্দেশ আসেনি বলে জানালেন বাসন্তীর প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর। তাঁর কথায়, “দল এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, কাদের সমর্থন করবে। এমনও হতে পারে, আরএসপি নিজেই বোর্ড গঠন করল। বা সম্পূর্ণ ভাবে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরে থাকল।”
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতা সর্দার, নিশিকান্ত সর্দারেরা বলেন, “কে বোর্ড গঠন করল, সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। আমরা চাই গ্রামীণ পরিষেবা। পঞ্চায়েত থেকে যে পরিষেবা পাওয়া যায়, সেগুলি পেলেই আমরা খুশি।’’