জয়ের পর এক সিপিএম প্রার্থীকে কাঁধে তুলে নিয়েছেন সমর্থকেরা। অশোকনগরে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
বসিরহাটে ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে জয়ী হল তৃণমূল। একটিতে কংগ্রেস এবং একটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই একটি আসনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাস, হুমকির অভিযোগ তুলছিল বিরোধীরা। ভোটের দিন পুলিশের সামনেই ছাপ্পা ভোট, বুথ জ্যামের অভিযোগ ওঠে। বহু ভোটারের দাবি, তাঁরা বুথে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের ভোট পড়ে গিয়েছে। কাউকে কাউকে হাতে শুধু কালি লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সুবিধের নয় বুঝে বহু ভোটার লাইনে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ভোটের দিন সকাল থেকে এলাকায় বহু বহিরাগত বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। সন্ত্রাস, ছাপ্পার অভিযোগ তুলে ভোটের পরে শহরে মিছিল করে বামেরা।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষে জয় ঘোষণা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফলাফলও সে কথাই বলছে। প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ১০ শতাংশ ভোট, বামেদের প্রাপ্ত ভোট ৪ শতাংশ। কংগ্রেস পেয়েছে ৬ শতাংশের মতো ভোট।
২০১৫ সালে পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে ছিল। এ বার তা বেড়ে ২১ হল। অন্য দিকে, গতবারের থেকে ৪টি আসন কম পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি ২টি আসন কম পেয়েছে। গত পুরবোর্ডে ২টি আসন হাতে থাকলেও এ বার বামেদের ফল শূন্য।
ছাপ্পা, সন্ত্রাস, হুমকির ফলেই এই ফলাফল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, সময় মতো মানুষ এই অন্যায়ের যথাযথ উত্তর দেবেন।’’ সিপিএম নেতা দীপেশ চৌধুরী বলেন, ‘‘ছাপ্পা মেরে ভোট লুট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এমনটা না হলে ভোটের ফল অন্য রকম হত।’’ বসিরহাট টাউন কংগ্রেসের সভাপতি হিরন্ময় দাসের কথায়, ‘‘ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। মানুষ একদিন তার অধিকার বুঝে নেবে।’’
বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৃণমূলকে বেছে নিয়েছেন।’’