বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
সরকারি নির্দেশ মেনে চাল, আলু না দেওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আটক করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার ৬ নম্বর সোনাখালি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
মাথাপিছু ৩ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে আলু দেওয়ার কথা সরকারি নির্দেশ মোতাবেক। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক তা দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। ছাত্র পিছু ৩০০ গ্রাম করে চাল ও ৩০০ গ্রাম করে আলু কম দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। স্কুলে মোট ২২০ জন ছাত্রছাত্রী। তাদের চাল ও আলু কম দিয়ে তা অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের। প্রধান শিক্ষককে এ দিন স্কুলের মধ্যে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষ।
খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অন্য দিকে, পড়ুয়াদের বরাদ্দ খাবার কম দেওয়ার অভিযোগ উঠল বসিহাটের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এখানেও অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। বসিরহাটের ৩ নম্বর কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।
পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন দেবনাথ বলেন, ‘‘বাচ্চাদের খাবার কম দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না। ১৮৯ জন শিশু এই স্কুলে পড়ে তাদের অনেকেই আগের মাসে খাদ্যসামগ্রী পায়নি।’’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক দীপক অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলে যেমন শিশু আসে, তেমনই খাদ্যসামগ্রী তোলা হয়। এ বার যা খাবার এসেছে সকলকে দিয়ে দেব। চাল মেপে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কমের প্রশ্ন নেই।’’