অফিসে জল। বাইরে চলছে কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
জলমগ্ন ঘর। একটু বৃষ্টিতেই থইথই দশা। জলের তোড়ে রাস্তার মাটি কেটে চলে যায় ঘরের ভিতরে। প্যাচপেচে কাদায় বসার জায়গা তো দূরের কথা, পা রাখার জায়গা পর্যন্ত পাওয়া যায় না। জলে পড়ে গিয়ে যাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট না হয়, সে জন্য অফিসের বাইরে রাস্তার ধারে বসে কাজ করতে হয় অফিসের কর্মচারীদের।
গত বছর দু’য়েক ধরে এমনই হাল বাদুড়িয়ার বাগজোলা পঞ্চায়েতের সৈয়দপুর গ্রামে বিএলআরআরও অফিসের। মূলত সুষ্ঠু জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় অফিস ঘরে জল জমে বলে অভিযোগ।
দিন কয়েক আগে ঘণ্টাখানেকের টানা বৃষ্টিতেও একই দশা হয়েছিল রাজস্ব পরিদর্শকের ওই অফিসে। দফতরের আধিকারিক আবুল হোসেন বলেন, ‘‘আগে এমন অবস্থা ছিল না। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে মাটি ফেলে অনেকটাই উচু করা হয় রাস্তা। তখন থেকেই একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার জল দফতরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় ভারি বর্ষা হলে দফতরের অবস্থা আরও করুণ হয়। তখন কাজ করা বেশ সমস্যার।’’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গনি বিশ্বাস, আব্দুল হাকিম, মতিয়ার বৈদ্যরা জানালেন, নানা প্রয়োজনে প্রায়ই এই অফিসে আসতে হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে জল জমে থাকায় তারই মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন সকলে। শুধু তাই নয়, অফিসের ভিতরে ঢুকতে গিয়ে পা পিছলে অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। দিন কয়েক আগে গণস্বাক্ষর করা একটি আবেদনপত্র রাজস্ব পরিদর্শকের মাধ্যমে বাদুড়িয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে জমা দেন গ্রামবাসীরা। দফতরের ব্লক আধিকারিক সঞ্জীব টিকাদার জানান, রাজস্ব আধিকারিক বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।