water crisis

তলানিতে নেমেছে জলস্তর, কুলতলিতে জল কিনে খাওয়াতে হচ্ছে পড়ুয়াদের, দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস

পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। যদিও সামগ্রিক ভাবে জলসমস্যা কী করে মিটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কুলতলি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ২১:৪৫
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

গরমের শুরুতেই জলস্তর নেমে গিয়েছে। ফলে এলাকার অনেক জায়গাতেই নলকূপ বা সাবমার্সিবল পাম্পে জল উঠছে না। এমনই পরিস্থিতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। পানীয় জল মিলছে না কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাই স্কুলেও। ফলে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে বাধ্য হয়ে টাকা খরচ করে জারবন্দি জল কিনতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

কুলতলির স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা হাজার তিনেক। সূত্রের খবর, স্কুলে দু’টি সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। তা দিয়েই পড়ুয়াদের পানীয় জলের চাহিদা মেটানো হত। কিন্তু গরম পড়তেই মাটির তলায় জলস্তর আরও নীচে নেমে গিয়েছে। ফলে সাবমার্সিবল পাম্পে জল উঠছে না। গত কয়েক দিন ধরে চলছে এই সমস্যা। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার পড়ুয়াদের খাওয়ার জন্য জারবন্দি জল কেনেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৩৫টি কুড়ি লিটারের বড় জার কেনা হয় বলে স্কুল সূত্রে খবর। সেখান থেকেই জল খায় পড়ুয়ারা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল বলেন, ‘‘স্কুলে একাধিক সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। কিন্তু গত ক’দিন ধরেই কোনও পাম্পেই ঠিকমতো জল উঠছে না। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে জল কিনতে হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। রোজ গড়ে হাজার দু’য়েক পড়ুয়া উপস্থিত থাকে। জল না থাকলে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায়। সামগ্রিক ভাবে এলাকার জলস্তর নেমে গিয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ করা।’’

Advertisement

কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা সর্দার বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। ওই স্কুল-সহ অন্যান্য স্কুলেও জলের সমস্যা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement