(বাঁ দিক থেকে) ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনা ১
আরাধ্যা বচ্চন পা দিল কৈশোরে। মা ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন সমাজমাধ্যমে ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর আঙুলে বিয়ের আংটি এখনও জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু বাবা অভিষেক বচ্চন এবং পরিবারের বাকিরা যে নীরব!
ঘটনা ২
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে নির্বাচন হল। অক্ষয় কুমার সকাল সকাল উপস্থিত। প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে দেহরক্ষী নিয়ে ভোট দেন সলমন খানও। কিন্তু ওই দিনও অনুপস্থিত বচ্চন পরিবার! কেউ ভোট দিতে এলেন না।
ব্যস, সমাজমাধ্যমে মন্তব্যের জোয়ার। অভিষেক বচ্চন-ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বিচ্ছেদ যে হচ্ছে, তা যেন এক প্রকার নিশ্চিত। অবস্থা বেগতিক দেখেই কি অবশেষে ময়দানে নামলেন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। যথারীতি নিজস্ব ভঙ্গিতে সমাজমাধ্যমে ব্যঙ্গাত্মক বক্তব্য পেশ করলেন ‘শাহেনশা’। তাঁর কটাক্ষ, “বক্তব্যের শেষে একটা করে প্রশ্নচিহ্ন! অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদের চর্চায় নতুন ইন্ধন। পাঠকেরা পড়ছেন এবং দেদার প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন। এতে ভুয়ো খবর আরও বেশি করে ছড়াচ্ছে।” এ-ও লিখলেন, তিনি চট করে নিজের পরিবার নিয়ে সমাজমাধ্যমে মুখ খোলেন না। পরিবারের সম্মানহানি যাতে না হয় সে কারণেই। কিন্তু অবলীলায় সমাজমাধ্যমে, সংবাদমাধ্যমে সেটাই প্রতি মুহূর্তে ঘটছে। যা দেখে তিনি স্তম্ভিত।
পাশাপাশি অমিতাভ নিন্দাচ্ছলে প্রশংসা করেছেন সংবাদমাধ্যমেরও। লিখেছেন, “আপনারা নিজেদের কাজে একটুও ফাঁকি দিচ্ছেন না। অবশ্যই প্রশংসীয়। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা না জেনে দিনের পর অর্ধসত্য খবর ছড়িয়ে পড়ছে।” তাঁর আরও অনুযোগ, এতে অর্ধসত্যই প্রকাশ পাচ্ছে। যা পড়ে সাধারণ পাঠক নিজেদের মতো করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তাঁর বিনীত প্রশ্ন, “কোনও পরিবারকে অকারণে বিব্রত করতে এই ধরনের ভুয়ো কুৎসাই কি কাম্য?”