প্রতীকী ছবি।
টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে জোর টোটোতে তুলে নিয়ে গিয়ে রাস্তার পাশে জঙ্গলে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। নির্যাতিতার দাদা নেটনাধ্যমে ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি না তোলা পর্যন্ত পুলিশ সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সোমবার শিক্ষক দিবসের সন্ধ্যায় টিউশন পড়ে ফেরার পথে ওই স্কুলছাত্রীর পথ আটকায় তারই এক সহপাঠী এবং এক টোটোচালক যুবক। এর পরে জোর করে নাবালিকাকে টোটোতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি জঙ্গলে। সেখানে ওই দুই অভিযুক্ত তাকে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। এমনকি, ধর্ষণ করার চেষ্টাও করে। শেষ পর্যন্ত চিৎকারের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে কোনও মতে পালিয়ে যায় ওই নাবালিকা।
বাড়িতে ফিরে গিয়ে নাবালিকা গোটা ঘটনা তার পরিবারকে জানানোর পর সে রাতেই অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পর পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে অশোকনগর থানার পুলিশ। নাবালিকার ওই সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয়। নাবালক হওয়ায় মঙ্গলবার সল্টলেক জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয় তাকে। অন্য দিকে বুধবার গোপন জবানবন্দির জন্য নাবালিকাকেও আদালতে পাঠানো হয়।
তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত টোটোচালক যুবক ঘটনার পর থেকেই ফেরার তবে বাড়ির সামনে রাখা রয়েছে টোটোটি। ছেলে কোথায় বাবার কাছে জানতে চাওয়া হলে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বাবা জানিয়েছেন, ছেলে নিখোঁজ, এর বেশি আর কিছু জানেন না।
গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে দিল্লিতে থাকা নাবালিকার দাদা নেটমাধ্যমে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার নানা অভিযোগ তোলেন এবং মূল অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছ নাবালিকার পরিবার। মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার থাকায় নাবালিকার পরিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিরোধী বিজেপি এবং সিপিএম একযোগে পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে। বিরোধীদের এই কটাক্ষের কোন গুরুত্ব না দিয়ে অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। প্রতি বছর পুজোর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। থানায় গাড়ির সংখ্যা কম তাই পুরসভার পক্ষ থেকে একটি গাড়ি দেওয়া হবে যাতে পুজোর সময় পুলিশ-প্রশাসন বাড়তি টহল দিতে পারেন এলাকায়।’’