ফাঁকা কামরায় মদ খেয়ে বধূকে ধর্ষণের ছক ছিল দুই যুবকের

চলন্ত ট্রেন থেকে বধূকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল বারাসত জিআরপি। রবিবার বিকেলে তাদের ধরা হয়। জিআরপি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সাজ্জাত শেখ ওরফে মিঠু, অন্যজন কওসার আলি ওরফে কালু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১৯
Share:

চলন্ত ট্রেন থেকে বধূকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল বারাসত জিআরপি। রবিবার বিকেলে তাদের ধরা হয়। জিআরপি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সাজ্জাত শেখ ওরফে মিঠু, অন্যজন কওসার আলি ওরফে কালু। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করে। বসিরহাটের কাঁকড়া মির্জানগরে ভাড়া থাকে। সেখান থেকেই ধরা হয় তাদের। জিআরপি-র দাবি, জেরায় ওই দু’জন স্বীকার করেছে, বধূকে ধর্ষণ করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। মহিলা রাজি না হওয়ায় তাঁর মোবাইল আছড়ে ভেঙে দেয় তারা। শ্লীলতাহানি করে। এরপরে চলন্ত ট্রেন থেকে বাইরে ফেলেও দেয়।

Advertisement

কী ভাবে হদিস মিলল দুই যুবকের?

তদন্তকারী এক অফিসার জানান, বধূর মোবাইলই তদন্তের সূত্র দিয়েছিল। মোবাইল খুঁটিয়ে দেখার পরে জানা যায়, অভিযুক্তেরা মহিলার পূর্ব পরিচিত। বসিরহাট থেকে তাঁরা এক সঙ্গেই উঠেছিলেন ট্রেনে। ফাঁকা কামরায় মদও খায় দু’জন। তারপরেই একলা পেয়ে মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের চেষ্টা করে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নেশার ঘোরে মহিলাকে বাইরে ঠেলে ফেলে।

Advertisement

২৩ জানুয়ারি কাজ সেরে রাতের ট্রেন ধরে ফিরছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা বছর বত্রিশের ওই বধূ। বসিরহাট থেকে ট্রেন ছাড়ার পরে কামরা আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে যায়। অভিযোগ, এরপরেই মদ্যপ দুই যুবক জবরদস্তি করার চেষ্টা করে মহিলার সঙ্গে। পরে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়।

বসিরহাটের হাড়োয়া-ভাসিলিয়া স্টেশনের মাঝে দেগঙ্গার কুমরুলি গ্রামে তাঁকে সকালে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামেরই দুই যুবক হাবিব সর্দার ও আব্দুল রহিম মণ্ডল। মহিলাকে তাঁরা নিয়ে যান হাড়োয়া হাসপাতালে। পরে পাঠানো হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকরে।

তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, কিছু দিন আগে ট্রেনে বসিরহাটের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওই বধূর। সেই সুত্রে কাজের খোঁজে তিনি এসেছিলেন বসিরহাটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement