Crime

মামার বাড়ি বেড়াতে এসে গুলিবিদ্ধ দুই ভাই! মেলেনি মোবাইল, হামলার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

দুই ভাইয়েরই শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এখন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ভাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও হাবড়া শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৭
Share:

দুই ভাইয়েরই শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এখন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। —প্রতীকী চিত্র।

মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন দুই ভাই। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার জিওলডাঙা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দুই যুবকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। গত বৃহস্পতিবার মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন শ্রীমান দাস ওরফে মনি এবং তাঁর ভাই শুকদেব দাস।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীমান দাসের শ্বশুরবাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। প্রথমে ভাইকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন শ্রীমান। সেখান থেকে জিওলডাঙায় মামার বাড়িতে এসেছিলেন। রবিবার রাতে মামার বাড়ি থেকে মাসির বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় নবোদয় ক্লাবের সামনে গুলিবিদ্ধ হন দুই ভাই। মনির হাতে গুলি লাগে। তাঁর ভাই সুখদেবের বাঁ দিকের পাঁজরে একটি গুলি লেগেছে। তা ছাড়া, সুখদেবের মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা প্রথমে তাঁদের উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু দুই ভাইয়েরই শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এখন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

শ্রীমানদের কাকা ছিদাম দাস বলেন, ‘‘গত বুধবার আউশগ্রামের ভালকি থেকে মনি শ্বশুরবাড়ি যায়। ওর ভাইও ছিল সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে ওদের মামার বাড়ি জিওলডাঙা গ্রামে যায়। তার পর রবিবার রাতে মামার বাড়ি থেকে মাসির বাড়ি যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ গুলির শব্দ পান স্থানীয়রা। তার পর দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দু’জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়া যুবকদের মা রূপা দাস বলেন, ‘‘দু’ভাই চেন্নাইতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে। কী করে যে কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না। শুনছি এখন ওদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’’

কী কারণে এই গুলি চালাল, কে গুলি করল, এ সব নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাবড়া থানার পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement