মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির বঙ্কিম ঘাটে। প্রতীকী ছবি
গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিল দুই বন্ধু। তখন এক জনকে তলিয়ে যেতে দেখে উদ্ধার করতে হাত বাড়ায় অন্য জন। এর পরেই ঘাটের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জনেই পা হড়কে তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে নৈহাটির বঙ্কিম ঘাটে। পুলিশ সূত্রের খবর,প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘাটে থাকা কয়েক জন তখনই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে দু’জনকে উদ্ধারের চেষ্টাকরেছিলেন। কিন্তু তার আগেই স্রোতের টানে ভেসে যায় দুই কিশোর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরেখেলতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নৈহাটি মহেন্দ্র স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুজল সাউ এবং স্থানীয় নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়াশুভম দে। সুজলের বাড়ি সঞ্জীব চ্যাটার্জি রোডে এবং শুভমের বাড়ি মক্রেশ্বর ঘাট রোডে।
লিচুবাগান এলাকায় বেশ কিছুটা সময় খেলার পরে বঙ্কিম ঘাটে যায় দুই বন্ধু। সেই সময়ে ঘাটে যাঁরা স্নান করছিলেন,তাঁদের অনেকেই ওই দু’জনকে চিনতেন। তাঁরা জানান, দুই বন্ধু কিছু ক্ষণ গল্প করার পরে জলে নামে। সুজল ঘাটের শেষ ধাপে নেমে স্নান করতেথাকে। আচমকাই তাকে তলিয়ে যেতে দেখে শুভম হাত বাড়িয়েবন্ধুকে ধরতে যায়। তখন পিছলে যায় সে-ও। দু’জনকেই হাবুডুবু খেতেদেখে জলে ঝাঁপান ঘাটে থাকা কয়েক জন।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘চোখের নিমেষে স্রোতের টানে তলিয়ে যায় দুই বন্ধু।’’ পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনী, স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে, গঙ্গায় ডুব সাঁতার দিয়েখোঁজাখুঁজি করেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। কিন্তু হদিস মেলেনি দুই বন্ধুর।
নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘাটেরশেষ ধাপ পিচ্ছিল হয়ে থাকার কারণেই এমন দুর্ঘটনা। কালসকাল থেকে ফের তল্লাশি শুরু হবে গঙ্গায়।’’