Cyclone Jawad

cyclone Jawad: পর্যটনের মরসুমে হঠাৎ শুনশান বকখালি

বকখালিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। পুজোর সময় থেকে ভিড় বাড়ে। শীতের শুরুতে গমগম করে সমুদ্র সৈকত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বকখালি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০৯
Share:

জনমানবহীন: সৈকতে দেখা নেই কারও। ছবি: দিলীপ নস্কর।

আমপান, ইয়াসের ধাক্কা তো ছিলই। করোনা আবহে মাসের পর মাস ব্যবসা মন্দা গিয়েছিল বকখালিতে। গত কয়েক মাস ধরে পরিস্থিত ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। কিন্তু জ়ওয়াদের ভ্রুকুটিতে গত কয়েকদিন ধরে ফের পর্যটনশূন্য বকখালি।

Advertisement

বকখালিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। পুজোর সময় থেকে ভিড় বাড়ে। শীতের শুরুতে গমগম করে সমুদ্র সৈকত। পিকনিক করতে আসেন অনেকে। বছরখানেক আগে পর্যন্ত বকখালিতে যাওয়ার জন্য হাতানিয়া-দোহানিয়া নদী পেরোতে হত বার্জে। যানজটে অনেকক্ষণ আটকে পড়তে হত। কিন্তু এখন সে সমস্যাও মিটেছে সেতু তৈরির পরে। গাড়ি নিয়ে সরাসরি নদী পেরোনো যাচ্ছে। আগের থেকে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে।

কিন্তু চলতি সপ্তাহটা ব্যবসা মন্দাই গেল এখানে। পর্যটকদের থাকার জন্য ৬০-৭০টি সরকারি-বেসরকারি হোটেল রয়েছে। পর্যটকদের খাবার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোটেল। সৈকতে রকমারি দোকান বসে।

Advertisement

কিন্ত দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় শনি-রবিবার একেবারেই ফাঁকা বকখালি। সমস্ত হোটেলে বুকিং বাতিল হয়েছে। যাঁরা আগে এসেছিলেন, তাঁদের সমুদ্রে মানতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষে। সৈকতে ঘোরাঘুরিও বারণ। পুলিশ টহল দিচ্ছে সেখানে।

বকখালি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিশ্বেশ্বর প্রামাণিক বলেন, ‘‘এই এলাকায় প্রায় ২২০টি নানা রকম দোকান রয়েছে। হঠাৎ করে দুর্যোগের কারণে পর্যটক আসা বন্ধ। ক্ষতির মুখে পড়েছেন সকলেই। দোকান খোলা থাকলেও খরিদ্দারের দেখা নেই। পুরো বককালি ফাঁকা। কবে দুর্যোগ কেটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছি।’’ এক হোটেল মালিক বলেন, ‘‘দুর্যোগের কারণে প্রশাসনের নির্দেশেই বেশ কিছু বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। তাতে অনেক ক্ষতি হল।’’

নামখানার বিডিও শান্তনু ঠাকুর সিংহ বলেন, ‘‘সমস্ত হোটেলে দু’দিনের বুকিং বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যে সমস্ত পর্যটক আগেই এসেছিলেন, তাঁরা সমুদ্রে নামতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement