ব্যবসায়ীদের কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনে পর্যটন শুরুর দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। দেশ জুড়ে লকডাউনের জন্য মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই সুন্দরবনে পর্যটন বন্ধ ছিল। প্রায় আড়াই মাস পরে ১৫ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরবনে পর্যটন শুরুর অনুমতি দিয়েছিল বন দফতর। কিছু পর্যটক আসতে শুরুও করেছিলেন। তবে সংক্রমণের আশঙ্কায় ৩ অগস্ট থেকে ফের পর্যটন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে সুন্দরবনে পর্যটন চালুর দাবিতে মঙ্গলবার অবস্থান করেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র খুলতে শুরু করেছে। তা হলে সুন্দরবনে কেন পর্যটনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? পর্যটন ব্যবসায়ী শম্ভুনাথ মান্না, অনিমেষ মণ্ডল, হরেন ঘোরুইরা বলেন, ‘‘আমরা সরকারি সমস্ত নির্দেশ মেনে, লঞ্চ, বোট জীবাণুমুক্ত করে, পর্যটকদের মাস্ক পরিয়ে পর্যটন শুরু করতে রাজি আছি। অবিলম্বে পর্যটন শুরু না হলে সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ী ও এর সাথে যুক্ত বহু মানুষ চরম দুর্দশায় পড়বেন।”
এ বিষয়ে বন দফতরের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দফতরের এক কর্তা বলেন, “গুটিকয়েক বনকর্মী নিয়ে একদিকে সুন্দরবনের জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ রক্ষা করতে হচ্ছে। আবার পর্যটকদেরকেও সামলাতে গিয়ে বনকর্মীরা আক্রান্ত হলে পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে। সে কারণেই পর্যটন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”