ভাঙড় থানার সামনে যুব তৃণমূলের বিক্ষোভ। ছবি: সামসুল হুদা
তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করল যুব তৃণমূল। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ে।
এ দিন ভাঙড় থানার সামনে তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যুব তৃণমূল কর্মীরা। পরে ভাঙড় বাজারে একটি মিছিলও করেন তাঁরা। ভাঙড় ১ (এ) ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বাদল মোল্লার নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মিছিল হয়। বাদল ছাড়াও বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, তৃণমূল নেতা আয়নাল মোল্লা সহ অন্যান্যরা। যুব তৃণমূলের কর্মসূচিকে ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিভেদ।
যুব তৃণমূলের অভিযোগ, গত মে মাসে ভাঙড় ১(এ) ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাইজার আহমেদের নেতৃত্বে ভাঙড়ের গোবিন্দপুরে যুব তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লা, তৃণমূল নেতা আয়নাল মোল্লার উপরে বোমাবাজি করা হয়। ওই ঘটনায় বাদল ও আয়নাল গুরুতর জখম হন। পরে কাইজার-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেই ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া কাইজার-সহ বেশ কয়েকজন। এখনও জামিন পাননি কাইজার। যুব তৃণমূলের দাবি, পুলিশের খাতায় কাইজার ‘ফেরার’ থাকলেও দিন কয়েক আগে তিনি ভাঙড়ে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সেখানে দলীয় কর্মীদের শান্তির বার্তা দিয়ে সকলকে এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দেন। কী ভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কাইজার ভাঙড়ে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এলাকায় ফিরে কাইজার তাঁর অনুগামীদের ফোন করে দেখা করার কথা বলছেন। আবার ভাঙড়কে অশান্ত করতে তিনি পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ যুব তৃণমূলের। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও কাইজারের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ভাঙড় ১(এ) ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বাদল মোল্লা বলেন, ‘‘আমাকে প্রাণে মারতে সে দিন ওরা আমাকে বোমা মেরেছিল। বরাত জোরে কোনও রকমে বেঁচে ফিরেছি। এখনও ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারি না। আবারও এলাকা অশান্ত করতে নতুন করে পরিকল্পনা করছেন কাইজার।’’ কাইজারকে বার বার ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা সভাপতি শুভাশিস চত্ররবর্তীর সঙ্গেও এ দিন কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।