প্রতিবাদ: তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকেরা। ওই দলীয় সদস্যের অপসারণের দাবিতে সোমবার হাতে পতাকা- ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলেরই কিছু কর্মী-সমর্থকেরা। হাসনাবাদের মাখালগাছা পঞ্চায়েতের হরিকাটি গ্রামের ঘটনা। শেষে পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দিলে শান্ত হয় বিক্ষোভকারীরা।
তবে দলের এই আচরণে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, ‘‘দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে মানুষের বিক্ষোভের ঘটনাটি শুনেছি। মানুষের চাহিদার বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতনকে জানানো হবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ হরিকাটি পশ্চিমপাড়ার মানুষ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বস্তিকা খাঁড়ার বাড়ির সামনে তিন রাস্তার মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হরিকাটি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য স্বস্তিকা স্থানীয় একজন নাম করা নেতার কথায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে একের পর এক অন্যায় করেছেন। তাই মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। দুপুর ১২টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক শুকুর আলি, বেলাল মণ্ডল, ফরিদা খাতুন বলেন, ‘‘আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষের জন্য আসা সরকারি টাকা স্বস্তিকা পাকা বাড়ির মালিকদের দিচ্ছেন। ব্যাঙ্ককর্মী, শিক্ষকও ওই তালিকায় রয়েছেন। এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি।’’
এমদাদুল মণ্ডল, নাজমা বিবি, ফতেমা বিবি বলেন, ‘‘এই এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর থেকে শুরু করে অন্য কোনও সাহায্যও গরিব মানুষ পান না। চাষিদের দেওয়া সার পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। আমপানে সরকারি সাহায্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। সব আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এমনকী আমপানের ক্ষতিপূরণের তালিকাতেও নাম তোলা হয়নি।’’ ওই এলাকার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের দাবি, অবিলম্বে ওই সদস্যকে অপসারণ করা হোক।
তবে স্বস্তিকা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমপানে সরকারি সাহায্য মানুষকে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে কেউ কেউ বদনাম করার চেষ্টা করছে।’’