প্রতীকী ছবি।
খাদ্য দফতরে এসআই পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল হাবড়ার বাসিন্দা এক তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে। গত বছর নভেম্বর মাসে এ বিষয়ে অশোকনগরের নবজীবন পল্লি এলাকার বাসিন্দা গোপাল দাস থানায় অভিযোগ করেছিলেন বলে তাঁর দাবি। কিন্তু তদন্ত না এগোনোয় ফের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এর আগে লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি। পরিবারটিকে বরং লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
গোপালের অভিযোগ, হাবড়ার বাণীপুরের বাসিন্দা এক যুবক তাঁর কাছে থেকে ২০১৮ সাল থেকে দফায় দফায় ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গোপালের মেয়েকে খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেবে। কিন্তু চাকরি মেলেনি। টাকা ফেরত চেয়েও পাননি।
গোপালের মেয়ের কথায়, ‘‘চেকে এবং নগদে ওই যুবক আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। পরীক্ষায় বসে আমি ওর কথা মতো সাদা খাতা জমা দিয়ে এসেছিলাম।’’ পুলিশের কাছে তাঁর আবেদন, চাকরি না হোক, অন্তত টাকাটা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হোক।’’
গোপালের দাবি, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা ও মেয়ের বিয়ের গয়না বিক্রি করে ওই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। যুবকের বাড়িতে গেলেও কারও দেখা মেলেনি। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও যুবক এ বিষয়ে কথা বলতে চায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ যে সময়ের, সে সময়ে হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছিলেন ওই দফতরের মন্ত্রী। ওই যুবককে তাঁর কাছেপিঠে দেখা যেত কি না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। দলের কর্মসূচিতে অবশ্য ওই যুবককে নিয়মিত দেখা যেত বলে জানাচ্ছেন অনেকে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। এক নেতার কথায়, ‘‘ওই যুবক তৃণমূলের কেউ নয়।’’ এক তৃণমূলের নেতা বলেন, ‘‘ভিড়ের মধ্যে নেতাদের পাশে ওকে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। তবে তা দিয়ে কিছু প্রমাণ হয় না।’’
অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, ‘‘হাবড়া-অশোকনগর নয়, ২০১১ সালের পরে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও শহরে দালালদের মাধ্যমে, টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি হয়েছে।’’
লিখিত অভিযোগ পেলে হাবড়ার ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।