জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বনগাঁ শহরে তৃণমূলের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
হাবড়ার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে মিছিল করলেন দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলার প্রতিটি শহর ও ব্লক এলাকায় মিছিল হয়েছে।
হাবড়া শহরের মিছিলের দিকে সকলের নজর ছিল। কারণ, জ্যোতিপ্রিয় এখানকার তিন বারের বিধায়ক। সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় জ্যোতিপ্রিয়ের রাজনৈতিক তৎপরতা কিছুটা কমে গেলেও বনগাঁ মহকুমা, বসিরহাট মহকুমা এবং বারাসত মহকুমার একাংশে তাঁর প্রভাব ছিল যথেষ্টই। মধ্যমগ্রামে মিছিলে ছিলেন বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
লক্ষ্মীপুজোর দিন প্রতিবাদ মিছিলে এ দিন মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। হাবড়া শহরে ১ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়। নেতাজি মূর্তি হয়ে স্টেশন মোড়ে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদ সভাও হয়। মিছিলে হাঁটেন পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা, হাবড়া শহর তৃণমূল সভাপতি সীতাংশু দাস, প্রাক্তন পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস।
নারায়ণ বলেন, ‘‘এই জেলার পাঁচ বারের বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি এখানে তৃণমূলের অভিভাবক। বিজেপির নির্দেশে তাঁকে চক্রান্ত করে ইডি গ্রেফতার করেছে। বিজেপি ঘৃণ্য রাজনীতি করেছে। তারই প্রতিবাদে আমাদের সভা-মিছিল।’’ শহরের পাশাপাশি হাবড়া গ্রামীণ এলাকার বাউগাছি, হাবড়া ১ ব্লকের মছলন্দপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকাতেও মিছিল হয়েছে। বড় মিছিল হয়েছে গোবরডাঙা শহরে। এই শহর গাইঘাটা বিধানসভার মধ্যে পড়ে। এখানকার দু'বারের বিধায়ক ছিলেন বালু। বনগাঁ শহর, গোপালনগর, গাইঘাটা, বাগদা— সর্বত্র মিছিল হয়েছে। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় এ দিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ পথে নেমেছিলেন।’’ মিছিল হয়েছে বসিরহাট, হাসনাবাদ, বারাসত, মধ্যমগ্রাম, আমডাঙাতেও। তৃণমূলের মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘এত দিন আমরা দেখে এসেছি, মানুষ চোরদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এখন দেখছি, তৃণমূল চোরদের ছাড়ানোর দাবিতে পথে নামছে!’’ তাঁর দাবি, ইডি তদন্ত করছে আদালতের নির্দেশে। এর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।