বিতর্ক: এই গাছা কাটা নিয়েই চাপানউতোর। ছবি: সামসুল হুদা
রাস্তার ধারের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ভাঙড় ১ ব্লকের শাঁকশহর পঞ্চায়েতে ঘুংড়ি এলাকায় পূর্ত দফতরের রাস্তার ধারে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তথা যুব নেতা এমএম সফি বেআইনি ভাবে দু’টি শিরীষ গাছ কেটে প্রায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করার তোড়জোড় করছেন।
ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাজাহান মোল্লা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে এ রকম ঘটে থাকলে প্রশাসনকে বলব, সব দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সফি বলেন, “ওই এলাকায় এক ব্যক্তি রাস্তার ধারে বাড়ি তৈরি করছেন। গাছের জন্য তিনি বাড়ির ছাদ দিতে পারছেন না। সে কারণে পঞ্চায়েত থেকে গাছের ডাল কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি ভাঙড় ১ বিডিওকে জানানো হয়েছে। কোনও ভাবেই সম্পূর্ণ গাছ কাটা হচ্ছে না। আমাকে বদনাম করার জন্য মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।”
এদিন গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙড় ১ বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, “দিন কয়েক আগে ওই পঞ্চায়েত থেকে গাছ কাটার জন্য মৌখিক ভাবে জানিয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সরকারি সমস্ত পদ্ধতি মেনে যেন গাছ কাটা হয়। এ দিন গাছ কাটা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পঞ্চায়েতের কাছে গাছ কাটার বৈধ অনুমতিপত্র চাওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অন্য একটি ঘটনায়, বেআইনি ভাবে সরকারি জমিতে গাছ কাটার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার হাদিপুর ঝিকরা ১ পঞ্চায়েতের দেওয়ানআটি গ্রামে। কাটা ডাল উদ্ধার করেছে পঞ্চায়েত। কার নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওয়ানআটি গ্রামে রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি পুরনো শিরীষ গাছ আছে। অভিযোগ, এ দিন দু’টি গাছ কাটছিলেন এক কাঠ ব্যবসায়ী। সঙ্গে দুই সঙ্গী ছিলেন। বাধা দেন কিছু গ্রামবাসী।
অভিযোগ, নিষেধ না মেনে গাছ কাটা চালিয়ে যাওয়া হয়। পঞ্চায়েত প্রধান হারান দাসকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর যায় পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাছ কাটার সরঞ্জাম।