—প্রতীকী চিত্র।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও বিরোধী সদস্যদের নানা ভাবে ভাঙিয়ে তৃণমূল কিছু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার চেষ্টা করতে পারে বলে পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছিল বিরোধীরা। বস্তুত, ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন থেকেই বিরোধীদের অনেককে দলবদল করে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করে দেখা গিয়েছে। সেই প্রবণতা এ বার দেখা গেল দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। মঙ্গলবার রাতে ৩ নির্দল এবং এক জন আইএসএফ সদস্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দেগঙ্গা ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুর রহমান বিদেশ। এর ফলে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড করার জায়গায় চলে এল তৃণমূল।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এই পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৬। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ৭টি আসনে জয়ী হয়। সিপিএম পায় ২টি, আইএসএফ একটি, এবং নির্দল ৫টি আসনে জয়ী হয়।
মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের দেগঙ্গা ১ ব্লক কার্যালয়ে গিয়ে ১২২ নম্বর পার্টের নির্দল সদস্য সোনালি খাতুন, ১২৯ নম্বর পার্টের মিলন দাস, ১২৭ নম্বর পার্টের ফতেমা বিবি এবং ১১৯ নম্বর পার্টের আইএসএফ সদস্য আবদুল্লাহ শাসক শিবিরে যোগদান করেন। এফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ১১। সম্মিলিত বিরোধী দলের হাতে থাকল ৬টি আসন।
আইএসএফের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক কুতুবুদ্দিন ফতেহি বলেন, "তৃণমূল প্রলোভন দিয়ে চার বিরোধী জয়ীকে দলে টেনেছে। হারার পরেও বোর্ড গঠনের এই রাজনীতি অনৈতিক। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার ফল তৃণমূলকে পেতে হবে লোকসভা নির্বাচনে।"
অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা বিদেশ বলেন, "অনেকেই দলে যোগ দিতে আবেদন করেছিলেন। যোগদানকারী চার জনের স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি থাকায় দলে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, নির্দলেরা পুরনো তৃণমূল কর্মী। ফের দলে আসতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। নেতৃত্বের নির্দেশে যোগদান করিয়েছি।"
দলবদলের পরে মিলন দাস বলেন, "তৃণমূল করতাম আগে থেকেই। নির্দলে দাঁড়িয়ে জিতলেও দল ছাড়িনি কখনও। বোর্ড গঠন করতে আবার দলে ফিরেছি।"