Bhangar

কোটি টাকায় তৈরি ‘লভ হাউস’, পঞ্চায়েতে ‘হৃদয়’ ভাঙল ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাস্‌সেরের

টানা তিন বার সামলেছেন ভাঙড়-২ ব্লকের ভোগালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের দায়িত্ব। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিও। সেই মোদাস্‌সের হোসেন এ বার ‘ব্রাত্য’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ১৪:৪৩
Share:

মোদাস্‌সের হোসেন। — নিজস্ব চিত্র।

টানা ১৫ বছর অর্থাৎ তিন বার সামলেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ ব্লকের ভোগালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের দায়িত্ব। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিও। কোটি টাকা খরচ করে তিনি তৈরি করেছেন ‘লভ হাউস’। বার বার বিতর্কিত কথাবার্তা বলে এসেছেন খবরের শিরোনামে। ভাঙড়ে দলের সেই প্রভাবশালী নেতা মোদাস্‌সের হোসেনকে এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিল না তৃণমূল। তবে মোদাস্‌সেরের স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়েছে।

Advertisement

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য, বিরোধীদের হুমকি-হুঁশিয়ারি। রাজনীতিতে এমনটাই ট্র্যাক রেকর্ড মোদাস্সেরের। শুধু তাই নয় বিতর্কের জল গড়িয়েছে ভাঙড়ে হাসপাতালের কাছে চারতলা, বিশ হাজার বর্গফুটের ‘প্রাসাদ’ নিয়েও। বাড়ির দেওয়ালে ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে হৃদয়ের বড় বড় চিহ্ন। ঠিক এই কারণেই ওই ‘প্রাসাদ’ ‘লভ হাউস’ নামে পরিচিত এলাকায়। সেই ‘লভ হাউস’-এর মালিক তথা আরাবুল ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত মোদাস্‌সেরের হৃদয় ভাঙল এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

ভোগালি-২ পঞ্চায়েতে মোট ১৮ টি আসন। এর মধ্যে ১ নম্বর আসন বা ১৭৫ নম্বর বুথে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন মোদাস্‌সের এবং আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলাম ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত আলিনুর মোল্লা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, টিকিট পাননি এলাকার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা মোদাস্সের। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে নতুন মুখ আলিনুরকে।

Advertisement

এ নিয়ে মোদাস্‌সেরের বক্তব্য, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। টিকিট দেয়নি তো দেয়নি। তাতে কী হয়েছে? কোনও অসুবিধা নেই। অঞ্চলের দায়িত্বে তো আছি। টিকিট দেওয়া নিয়ে কী সমস্যা হয়েছে তা দল জানে।’’ কোটি টাকায় তৈরি বাড়ির মালিক বলেই কি এ বার টিকিট পেলেন না? মোদাস্‌সেরের উত্তর, ‘‘লভ হাউস কোনও ফ্যাক্টর নয়। ১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আমি বাড়ি করেছি। হাই কোর্ট থেকে তদন্তও হচ্ছে।’’ কেন টিকিট পাননি তা নিয়ে উচ্চনেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না মোদাস্সের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি দলের সঙ্গেই আছি।’’ মোদাস্সের এত দিন ধরে যে বুথে জিতে এসেছেন সেই বুথ তাঁর হাতছাড়া হলেও ১৭৬ নম্বর বুথ অর্থাৎ ঠিক তার পাশের এলাকায় প্রার্থী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পাপিয়া পারভিন। তাঁকে দলীয় প্রতীক দিয়েছে তৃণমূল।

মোদাস্‌সেরের টিকিট না পাওয়া নিয়ে আরাবুল পুত্র হাকিমুলের জবাব, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। কারও ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। এ বার দল অনেক নতুন মুখকে টিকিট দিয়েছে। তাই পুরনোদের অনেকে বাদ গিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement