সুবীর ঘোষ
বারুইপুরে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূল নেতা সুবীর ঘোষের (৬৩) পাকস্থলীতে অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে বলে তাঁর দেহের ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের একটি পুকুর থেকে সুবীরবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুকুরের এক পাশে সুবীরবাবুর জুতো ও স্বাস্থ্যসাথীর কয়েকটি আবেদনপত্র পড়ে ছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছিল, সুবীরবাবুকে খুনের উদ্দেশ্যে ধাক্কা মেরে জলে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তার পরে অবশ্য তদন্তকারীদের ধারণা বদলায়। এখন তাঁরা মনে করছেন, মত্ত অবস্থায় পুকুরে পড়ে গিয়ে সুবীরবাবুর মৃত্যু হয়েছে। তবে পুকুরের যে দিক থেকে তাঁর দেহ মেলে, তার উল্টো দিকে জুতো ও স্বাস্থ্যসাথীর আবেদনপত্রগুলি পড়ে ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, জুতো ও স্বাস্থ্যসাথীর আবেদনপত্রগুলি যেখানে পাওয়া গিয়েছে, পুকুরের সেই প্রান্তেই সম্ভবত সুবীরবাবু পড়ে যান। পরে মৃতদেহটি উল্টো দিকে ভেসে যায়।
সোমবার রাতে সুবীরবাবু বাড়ি ফেরেননি। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরে মঙ্গলবার সকালে দেহ উদ্ধার হয়। ওই এলাকার বাসিন্দাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সুবীরবাবুর রাজনৈতিক সহযোগীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সেই রাতে সুবীরবাবু কোথায় বসে মদ খেয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক তদন্তকারীর কথায়, ওই সূত্র ধরেই সুবীরবাবুর মৃত্যু-রহস্যের কিনারা করা যেতে পারে বলে অনুমান।