‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র কথা বলতে গিয়ে অভিষেক তুলনা টেনেছেন পঞ্চায়েতের উদাহরণ। দাবি করেন, এ রাজ্যে বিজেপি কর্মীও সমান ভাবে সরকারি পরিষেবা পান। ছবি: ফেসবুক।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে নেমেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই ‘বন্ধের’ দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে চড়িয়াল সেতুর উদ্বোধনে গিয়ে তা নিয়ে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের তুলে ধরলেন রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের কথা।
ডিএ ধর্মঘট নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছেন। আমি তাঁদের বলব, দিল্লির বুকে গিয়ে আন্দোলন করুন। যোগ্য বাংলার সন্তান নিজেদের মনে করলে আগে রাজ্যের বকেয়া ফিরিয়ে আনুন। আমরা সমানে লড়াই করছি।’’ বজবজে চড়িয়াল সেতুর উদ্বোধন করতে গিয়ে অভিষেকের সংযোজন, ‘‘কী আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে একটা রাজ্য যাচ্ছে, জানেন? সেখানে যাঁরা ব্ল্যাকমেলিং পলিটিক্স করছেন, তাঁরা এক মুহূর্তের জন্যও ভাবে না ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। এখনও তা রাজ্যকে দেয়নি। ১৭ লক্ষ পরিবার একশো দিনের কাজ করে বসে রয়েছে। তাদের টাকা দেয়নি।’’
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘এক মাত্র বাংলা যার টাকা বন্ধ। বাংলার আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের কাঁচকলা দেখিয়ে বলেছেন তোমাদের টাকার আমার দরকার নেই। যত দিন আমি আছি, বাংলার নামেই প্রকল্প হবে। বাংলার মানুষের জন্য কাজ হবেই। তাই এ বার বিধনাসভায় রাজ্য জানিয়েছে ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কাজ শুরু হতে চলেছে আগামিদিনে।’’
‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র কথা বলতে গিয়ে অভিষেক তুলনা টেনেছেন পঞ্চায়েতের উদাহরণ। সভা থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখানে পঞ্চায়েতে তো বিজেপি নেই। এখন আমি যদি বিজেপি কর্মীদের টাকা আটকে দিই? এটা তো কোনও সংস্কৃতি নয়। আমরা করিও না। বিজেপির লোকেদেরও যদি রাস্তার সমস্যা হয়, জলের সমস্যা হয়, বাড়ির অসুবিধা হয়, জাতি শংসাপত্রের দরকার হয়, তা হলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে ফোন করুন। আমি এক ডাকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে দেব। এটাই ডায়মন্ড হারবার মডেল।’’