মঞ্চ দখলের অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। —নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের ধর্না মঞ্চ দখল করে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে ঘিরে পথ অবরোধ করায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। ঘটনাস্থল হুগলির পান্ডুয়া।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শুক্রবার রাজ্য প্রশাসনকে অচল করে দেওয়ার কথা বলেছিল সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-র ডাকা সেই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে পান্ডুয়া বিডিও অফিসের সামনে ধর্না মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু অভিযোগ, ওই মঞ্চ রাতের অন্ধকারে তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। সেখানে তৃণমূল পতাকা লাগিয়ে দেয়। তারা নিজেদের মঞ্চ বলে দাবি করে। পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেনের অভিযোগ, ‘‘আমাদের ধর্না মঞ্চ রাতের অন্ধকারে তৃণমূল দখল করে নেয়। আমরা ধর্না মঞ্চে যাওয়ার আগেই সেখানে তৃণমূল কর্মীরা উপস্থিত হয়ে যান।’’
অন্য দিকে, পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের দাবি, ‘‘রাজ্য সরকারি কর্মীরা যাতে সুষ্ঠু ভাবে পান্ডুয়া বিডিও অফিসে প্রবেশ করতে পারেন, তার জন্য আমরা এই ধর্না মঞ্চ তৈরি করেছি। আর মঞ্চে শুধু তৃণমূলের পতাকাই আছে, সিপিএমের পতাকা নেই।’’
যদিও নিজেদের অভিযোগে অবিচল সিপিএম তাদের মঞ্চ দখল করে নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ শুরু করে। আমজাদ হোসেনরা প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ শুরু করলে পুলিশ গিয়ে তাদের হটানোর চেষ্টা করে। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় ধুন্ধুমার। এখন একে অন্যের বিরুদ্ধে দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপ চলছে।