Illegal Saw Mill

সুন্দরবনে অভিযান বন দফতরের, একাধিক বেআইনি করাতকলে তালা!উদ্ধার চোরাই কাঠ

সরকারি নিয়মানুযায়ী এই ধরণের কোন মিল চালাতে গেলে মিল মালিককে অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র থাকা জরুরি। অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে বেআইনি ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারুইপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৮
Share:

একাধিক বেআইনি করাতকল বন্ধ করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ। নিজস্ব চিত্র।

বেআইনি ভাবে ম্যানগ্রোভ গাছের কাঠ চেরাই এবং ব্যবসা করার অভিযোগে সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লকে একাধিক বেআইনি করাতকল (শ’মিল) বন্ধ করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ। উদ্ধার করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকার চোরাই কাঠও।

Advertisement

কোনও সরকারি অনুমোদন ছাড়া ভাবে ব্যবসা করার অভিযোগে ১৫টি করাতকল বন্ধ করা হয়েছে বুধবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে পাথরপ্রতিমা ব্লকের দুর্বাচটি, গোপালনগর, দুর্গাগোবিন্দপুর এলাকায় আচমকা হানা দেওয়া হয়। পর পর ১৫টি মিল সিল করে দেন বন দফতরের আধিকারিক এবং বনকর্মীরা। গত এক সপ্তাহে একই ভাবে ৫০ টির বেশি অবৈধ করাতকল বন্ধ করা হয়েছিল বলে বন দফতর জানিয়েছে।

সহকারী বিভাগীয় বনাধিকারিক (এডিএফও) চিন্ময় বর্মনের নেতৃত্বে রামগঙ্গা রেঞ্জ এবং ভগবতপুর রেঞ্জ ঝটিকা হানা দেওয়া হয় বুধবার। পরে চিম্নয় বলেন, ‘‘এইসব করাতকল মালিকদের কারও বৈধ কাগজপত্র নেই। তাছাড়া সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ গাছের কাঠ চেরাই হত বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল।’’

Advertisement

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন লাগোয়া পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, মথুরাপুর, কুলতলি, জয়নগর, বাসন্তী, ক্যানিং ব্লক-সহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক বেআইনি শ’মিল চালু রয়েছে। সরকারি নিয়মানুযায়ী এই ধরণের কোন মিল চালাতে গেলে মিল মালিককে অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র থাকা জরুরি। অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে বেআইনি ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বলে অভিযোগ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘এই ধরনের অবৈধ কাজ বন্ধ করতে জেলে বন বিভাগ বিশেষ দল গঠন করেছে। মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হচ্ছে। এই রকম অভিযান আরও চলবে।’’ বন দফতরের এই কাজে খুশি সুন্দরবনের পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠনগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement