Tiger

Tiger: ‘জওয়াদ’-উদ্বেগের মাঝেই রাতে বাঘের গর্জন! আতঙ্কের প্রহর গুনছে সুন্দরবনের মৈপীঠ

রবিবার সকালে গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব দেবীপুর গ্রামের ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুন্দরবন  শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৩৮
Share:

নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড়় ‘জওয়াদ’ নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই বাঘের আতঙ্ক ছড়াল সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকায়। যদিও বনদফতরের দাবি, বাঘ বেরিয়ে থাকলেও আবার তা জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। বনদফতের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না গ্রামবাসীদের।

রবিবার সকালে গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব দেবীপুর গ্রামের ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি গভীর রাতেও বাঘের গর্জনও শোনা গিয়েছে দাবি তাঁদের।

গ্রামবাসীরা জানান, তন্ময় মহাপাত্র বলে এক বাসিন্দার ঘরের পাশেই কাদামাটিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। রাতে বাঘের গর্জন শোনার পর সকালে পায়ের ছাপ দেখে তাঁদের অনুমান, আশেপাশেই কোথাও ঘাপটি মেরে রয়েছে বাঘটি।

এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘রাতে নদীর পাড়ে পাহারা দিয়েই আমাদের কাটাতে হবে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদী সাঁতরে বাঘের লোকালয়ে চলে আসার ঘটনা নতুন নয়। শীতের এই সময়েই বাঘের উপদ্রব বাড়ে। সব সময়েই আতঙ্কে থাকতে হয় আমাদের।’’

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নদীর পাড়েই গ্রাম। গ্রামে বৈদ্যুতিক পোস্ট থাকা সত্ত্বেও আলো নেই। ফলত, আতঙ্কের মধ্যে অন্ধকারেই থাকতে হবে তাঁদের।

Advertisement

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন রায়দিঘির রেঞ্জার, কুলতলির চিতুরি বিট অফিসার-সহ বনদফতরের কর্মীরা এবং মৈপীঠ থানার পুলিশ। এলাকা ঘুরে দেখেন বনদফতরের কর্মীরা। বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষাও করেন তাঁরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় গিয়ে জোরদার তল্লাশি চালানো হয়েছে। বাঘ বেরিয়ে থাকলেও আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নজরদারি চালাচ্ছে বনদফতর।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement