এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেই বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
রাতের অন্ধকারে বন্ধ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে বোমা বাঁধছিল এক দল দুষ্কৃতী। আচমকা বিস্ফোরণে জখম হল তিন জন। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে। আহতরা ভর্তি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে শাসন থানার বালিপুর বজবজিয়া এলাকার একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে বোমা বাঁধছিল জনা কয়েক দুষ্কৃতী। আচমকাই বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছে দুষ্কৃতীদের মধ্যে বছর ছাব্বিশের সাবির আলি, বছর পঁচিশের জাহাঙ্গির আলি এবং মিজান আলি নামে তিন দুষ্কৃতী। স্থানীয়রাই তাদের উদ্ধার করে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বজবজিয়ার বাসিন্দা মহম্মদ মোশিয়ার রহমান বলছেন, ‘‘ভোররাতে বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। এখন লকডাউনে স্কুল বন্ধ। কিন্তু পাশের ঘর খোলা ছিল। ওখানেই বোমা বাঁধছিল দুষ্কৃতীরা। মহম্মদ মিজানুর ইসলাম, মহম্মদ আরিফ আলি, সাবির আলি, মহম্মদ জাহাঙ্গির আলি, রাকিবুল ইসলাম নামে এই কয়েক জন দুষ্কৃতী ওখানে ছিল।’’ একই কথা বলছেন ওই এলাকারই বাসিন্দা নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, ‘‘লকডাউনে স্কুল বন্ধ। তবে ওখানে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। তার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে জখম হয় কয়েক জন।’’
আহত জাহাঙ্গিরের দাদা আলমগিরের অবশ্য দাবি, ‘‘আমার ভাই বোমার আঘাতে আহত হয়েছে। ও শিয়ালদহে মুটেগিরি করে। ওকে রাতে আরিফ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। ওরা আইএসএফ করে।’’
শিক্ষা কেন্দ্রের বোমা বাঁধার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। আহতদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।