Canning

তিন কন্যাকে বিষ খাওয়ান বাবা! প্রাণ গেল এক জনের, কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দুই

ক্যানিং থানার বালুইঝাঁকা গ্রামের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বাবার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কন্যাসন্তানরা বাবার ‘মাথাব্যথা’। পর পর চার কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় প্রতি দিনই অশান্তি করতেন স্বামী। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে শেষমেশ চার কন্যাসন্তানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। বাকি দুই কন্যা অসুস্থ। দু’জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কলকাতার হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার বালুইঝাঁকা গ্রামের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বাবার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বালুইঝাঁকা গ্রামের বাসিন্দা আমিনুদ্দিন সর্দারের বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি হত। স্ত্রী চার কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। এর পর চার মেয়েকে বিষ খাইয়ে খুনের পরিকল্পনা করেন আমিনুদ্দিন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, চার কন্যার মধ্যে তিন জনকে ঠান্ডা পানীয়ে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন আমিনুদ্দিন। রাবেয়া সর্দার নামে ১৩ বছরের এক বালিকার মৃত্যু হয় বিষক্রিয়ায়। বাকি দুই মেয়ে আয়েশা এবং রাচিয়া সর্দার গুরুতর অসুস্থ। তাদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বর্তমানে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দুই মেয়ে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, চার মেয়ে হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করতেন অভিযুক্ত। গত ১০ নভেম্বর তিনি ঠান্ডা পানীয়ে বিষ মিশিয়ে চার মেয়েকে খাওয়াতে যান। এক মেয়ে খায়নি। বাকি তিন জন ওই ঠান্ডা পানীয় পান করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন তিনি এমন কাজ করলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় আমিনুদ্দিনকে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। তাই বিষ দিয়েছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement