—প্রতীকী চিত্র।
মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব আসনে জিতল আইএসএফ। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েত এলাকার মতিলাল মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়। ৫টি আসনেই আইএসএফ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। শাসক দল তৃণমূল-সহ অন্য কোনও দলই প্রার্থী দিতে পারেনি। আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, শাসক দলের থেকে সংখ্যালঘুরা দূরে সরে যাচ্ছেন, স্থানীয় ভোটের এই ফল তারই ইঙ্গিত। সে কথা মানেনি তৃণমূল। অশান্তি এড়াতে প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে তাদের দাবি।
আইএসএফের দাবি, গত বছরই এখানে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শাসক দলের চাপে কর্তৃপক্ষ তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন। আইএসএফ সমর্থিত জয়ী প্রার্থী সাম্মাদ গাজি বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে আমরা এলাকায় সংগঠন বাড়াচ্ছি। লোকসভা ভোটের আগে এই জয় আমাদের সাহায্য করবে। স্কুলের পঠনপাঠনের দিকেও লক্ষ্য রাখব।’’
শাসক দলের ‘চাপে’ ভোট পিছনোর কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার জানা। তাঁর দাবি, ‘‘গত বছর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হলেও সে সময়ে এমন উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, কোনও অঘটন ঘটে যেতে পারত। সে কারণেই নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।’’ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইএসএফের জয় প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘আমাদের আগ্রহ না থাকায় ওরা একতরফা ভাবে জিতে গিয়েছে।’’
আইএসএফের স্থানীয় নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, তৃণমূলের হয়ে কেউ ভোটে দাঁড়াতে চাননি। পাথরপ্রতিমা ব্লকের আইএসএফ সম্পাদক গফ্ফর মোল্লা বলেন, ‘‘গত বছরও তৃণমূলের হয়ে কেউ দাঁড়াতে চাননি। তাই ওরা জোর করে ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল।’’ সমীর পাল্টা বলেন, ‘‘আমরা ভোটে প্রার্থী দিলে ওরা ইচ্ছে করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করত। লোকসভা নির্বাচনের আগে যদি কোনও রক্তপাত হয়, তা এলাকার জন্য বিপজ্জনক। আমরা তা মানুষের কথা ভেবে হতে দিইনি। এই ফলাফলে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না।’’