—প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি থেকে কিছু না বলেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন বছর তিপ্পান্নের প্রৌঢ়। পরদিন, অর্থাৎ শনিবার সকালে গঙ্গার ঘাট থেকে নিখোঁজ ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। খড়দহের ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওই প্রৌঢ়ের নাম তাপস সেনগুপ্ত ওরফে বাবুয়া (৫৩)। টিটাগড় মিলনগড়ের বাসিন্দা তাপস পেশায় ব্যবসায়ী। টিটাগড় পুরসভার ঠিকাদারের কাজ করতেন তিনি। আগে সিপিএমের সক্রিয় কর্মী থাকলেও বছর দুয়েক আগে তৃণমূলে যোগ দেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েকে গৃহশিক্ষকের কাছে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তাপস। এর পরে বাড়িতেই মোটরবাইক ও মোবাইল রেখে তিনি বেরিয়ে যান। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, বেরোনোর সময়ে স্ত্রী পম্পা সেনগুপ্তকে দু’হাজার টাকা দিয়ে যান তাপস। কিন্তু কোথায় বেরোচ্ছেন, তা বলে যাননি। সকলে ভেবেছিলেন, পাড়াতেই আশপাশে কোথাও আড্ডা দিতে গিয়েছেন তাপস। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর শুরু হয়।
এ দিকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ খড়দহ রাসখোলা ঘাটের গঙ্গার চরে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে তাপসের পরিজনেরা গঙ্গার ঘাটে গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। পুলিশকে পরিজনেরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বাইরে অনেক ধার হয়ে গিয়েছিল তাপসের। পুলিশের অনুমান, ওই প্রৌঢ় গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। টিটাগড় থেকে দেহটি ভেসে এসে রাসখোলা ঘাটের চড়ায় আটকে ছিল। জল কমতেই তা নজরে আসে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা দেখছে পুলিশ।