এখান থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর দেহ। নিজস্ব চিত্র
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের মাতলা সেতু সংলগ্ন নির্জন মেছোভেড়ি এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় মারুফ মোল্লা ও শামিম গায়েন নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মারুফ ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল। মাঝে মধ্যেই ওই তরুণীকে উত্যক্ত করত মারুফ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই তরুণী এ বিষয়ে পরিবারকে জানালে, তাঁর পরিবারের তরফ থেকে মারুফকে সাবধান করা হয়েছিল। তার পরেও বেশ কয়েকবার ওই তরুণীর স্কুলে গিয়ে ঝামেলা করেছিল সে। পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বাসন্তীর চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীকে চাঁদু পিয়াদা নামে এক বন্ধুর ফোন থেকে ফোন করে ঢুঁড়ি বাজারে ডেকে পাঠায় মারুফ। সেখানে এলে মারুফের বন্ধু শামিম জোর করে বাইকে তুলে তাঁকে নিয়ে যায় ক্যানিংয়ের দিকে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও দীর্ঘক্ষণ মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মারুফের কাছেও যান তাঁরা। কিন্তু মারুফ সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে। তবে মারুফের পরিবারের থেকে চাদুর কথা জানতে পারে ওই তরুণীর পরিবার। রাতেই চাঁদুর কাছে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোনও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ তরুণীর। তবে চাঁদুর কাছ থেকে মারুফের সঙ্গে ওই তরুণীর মোবাইলে যে কথা হয়েছিল তার রেকর্ডিং উদ্ধার করে তরুণীর পরিবারের লোকজন। কিন্তু সারা রাত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও মেয়ের কোনও হদিস পাননি তাঁরা।
রবিবার সকালে নিখোঁজ তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ক্যানিং থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। দেহ উদ্ধারের সময় তরুণীর গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো ছিল। অভিযুক্ত শামিম ও মারুফকে জীবনতলা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদুর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।