নিজস্ব চিত্র
ইয়াস নিয়ে গিয়েছে সব কিছু। বাড়ি-ঘর তো গিয়েছেই, অভাব এখন পর্যাপ্ত খাবারেরও। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুনি দ্বীপ কার্যত ধ্বংসস্তুপের চেহারা নিয়েছে ইয়াসের পর। এ বার সেখানেই অসহায় বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিলেন ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিলেন ৩০০ পরিবারের হাতে।
কটাল ও ইয়াসের জেরে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল নামখানার ভাঙন কবলিত দ্বীপ মৌসুনি। আস্তে আস্তে জল নামতে শুরু করলেও বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। প্লাবনের জেরে মাটির বাড়িগুলি ভেঙে পড়ায় আশ্রয় হারিয়েছেন অনেকেই। সংকটের এই সময়েই পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন পড়ুয়ারা। কেউ টিফিনের বাঁচানো টাকা নিয়ে, কেউ আবার টিউশনের টাকা জমিয়ে ত্রাণ নিয়ে হাজির হলেন দ্বীপে।
দ্বীপের বালিয়াড়া, সল্টঘেরি, বাগডাঙা ও কুসুমতলার বহু মানুষ এখনও বাড়িছাড়া। ইয়াস আছড়ে পড়ার আগে থেকেই স্থানীয় বন্যত্রাণ কেন্দ্র ও স্কুলবাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। সরকারি ভাবে ত্রাণ পৌঁছে গেলেও দুর্গত এলাকার মানুষের কাছে তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে বিভিন্ন সময়েই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছে এই দ্বীপে। তেমনই, রবিবার ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা চাল, ডাল তেল-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দিলেন ৩০০টি পরিবারের হাতে।