কর্মবিরতি চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
কর্মবিরতির জেরে মঙ্গলবারও আমদানি-রফতানি বন্ধ রইল পেট্রাপোল সীমান্তে। এর সঙ্গে যুক্ত পরিবহণ শ্রমিক-সহ আটটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিএসএফ ও পে্ট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি-র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। এর ফলে পেট্রাপোলে আমদানি-রফতানির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
সমাধানসূত্র বার করতে সোমবার পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি-র পক্ষ থেকে সমস্ত সংগঠনকে নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। ফলে মঙ্গলবার কর্মবিরতি চলছে।
তল্লাশির নামে ‘অত্যাচার’ চালাচ্ছে বিএসএফ। গাড়ি চালক, মালিক এবং ক্লিয়ারিং এজেন্টদের ‘নাজেহাল’ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বন্দর কর্তৃপক্ষও নানা ভাবে ‘জুলুম’ চালাচ্ছেন। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে বিক্ষোভ শুরু করে ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ নব মালিক সমিতি, বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সীমান্ত পরিবহণ মালিক সমিতি-সহ কয়েকটি সংগঠন। যার জেরে পেট্রাপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্যের উপর কোপ পড়েছে।
পেট্রাপোল স্থলবন্দর বেসরকারিকরণের চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ সংগঠনগুলির।