Durbar Rajshahi

বকেয়া বেতন! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতেই নামলেন না রাজশাহীর বিদেশিরা

বেতন বকেয়া থাকায় অনুশীলন বয়কট করেছিলেন দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারেরা। এ বার মাঠে খেলতেই নামলেন না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলের বিদেশি ক্রিকেটারেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৭
Share:

দুর্বার রাজশাহী দলের তিন ক্রিকেটার। ছবি: সমাজমাধ্যম।

দীর্ঘ দিন ধরে বেতনের দাবি জানাচ্ছেন দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারেরা। বেতন বকেয়া থাকায় কয়েক দিন আগে অনুশীলন বয়কট করেছিলেন তাঁরা। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। ফলে এ বার মাঠে খেলতেই নামলেন না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলের বিদেশি ক্রিকেটারেরা। বাধ্য হয়ে ১১ জন স্থানীয় ক্রিকেটারকে নিয়ে দল নামাতে হয় রাজশাহীকে।

Advertisement

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এই দলের ছয় বিদেশি হলেন, রায়ান বার্ল, মহম্মদ হ্যারিস, মার্ক ডেয়াল, মিগুয়েল কামিন্স, আফতাব আলম ও লাহিরু সামারাকুন। জানা গিয়েছে, রংপুর রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে মাঠেই যাননি তাঁরা। হোটেলে বসেছিলেন। বাধ্য হয়ে ১১ জন স্থানী ক্রিকেটারকে নামায় রাজশাহী। তার পরেও ম্যাচ জেতে তারা। তাতে অবশ্য বিতর্ক ধামাচাপা পড়ছে না।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিযোগিতা চলাকালীন বেতনের ৭৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হয়। কিন্তু ক্রিকেটারদের অভিযোগ, ২৫ শতাংশও পাননি তাঁরা। বার বার মালিককে জানিয়েও লাভ হয়নি। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম একাদশে অন্তত দু’জন বিদেশি খেলাতে হয়। সেই নিয়ম মানতে পারেনি রাজশাহী। তবে তার আগে তারা প্রতিযোগিতার টেকনিক্যাল কমিটির কাছে অনুমতি চেয়েছিল। অনুমতি পাওয়ার পরেই ১১ জন স্থানীয়কে নামায় তারা।

Advertisement

গত ১৫ জানুয়ারি অনুশীলন করেননি রাজশাহীর ক্রিকেটারেরা। নামপ্রকাশ না করার শর্তে কিছু ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন, দলের মালিক শফিক রহমান বেতন দেওয়ার তারিখ বেশ কয়েক বার পিছোলেও টাকা দেননি। তাই দলের ক্রিকেটারেরা পরিচালন সমিতিকে জানিয়ে দেন, এক দিন তাঁরা অনুশীলন করবেন না। সে দিন রাতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুখ আহমেদ কথা বলেন বোর্ডের ডিরেক্টরদের সঙ্গে। এর পর শফিক, অধিনায়ক আনামুল হক এবং বাকি কয়েক জন ক্রিকেটারের সঙ্গেও কথা হয়। অবশেষে বুধবার রাতে একটি ভিডিয়ো বিবৃতিতে রাজশাহীর অপারেশন্স-ইন-চার্জ জায়েদ আহমেদ জানান, তিন দিনের মধ্যেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। তার পরেও তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ক্রিকেটারদের।

জানা গিয়েছে, চট্টগ্রামের যে হোটেলে দল ছিল সেই হোটেলের ভাড়া মেটাতে পারেননি মালিক শফিক। তাঁর গাড়ি নিয়ে নিয়েছেন হোটেল মালিক। বাধ্য হয়ে হোটেল পরিবর্তন করতে হয়েছে দলকে। তার পরেও সমস্যা মিটছে না। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে চিন্তায় লিগ কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement