অভিনব: এই চশমা নিয়েই চলছে চর্চা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
চমকে দেওয়া চশমা!
বাইরে থেকে দেখলে চোখে পড়বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সঙ্গে লেখা, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফোন নম্বরও আছে। মনে হতে পারে, চশমার কাচের উপরে বুঝি স্টিকার সাঁটা হয়েছে। কিন্তু চশমা চোখে এঁটে দিব্যি দেখা যাবে বাইরের দুনিয়া। গুগল ঘেঁটে এ হেন চশমা বানানোর কথা মাথায় আসে বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের। এ দোকান ও দোকান ঘুরে অবশ্য হতাশ হতে হয়। এমন অভিনব চশমা না তো বনগাঁর লোক দেখেছে, না তো বানানোর কৌশল জানা আছে কারও। তবে কথা বলে, ইচ্ছে থাকলে কী না হয়। শেষমেশ উপায় একটা বেরিয়েছে। বরাত নেন বনগাঁরই একটি স্টুডিওর মালিক। চশমাও বিক্রি করেন স্টুডিও থেকে। তিনিই চিন থেকে আনা লেন্সে গোপালের দেওয়া ছবি ছেপে বানিয়েছেন চশমা। হাজার চশমার বরাত দিয়েছিলেন গোপাল। দাম পড়েছে এক একেকটি ৭৫ টাকা করে। চশমার ডাঁটিতে আবার লেখা, ‘সৌজন্যে গোপাল শেঠ’।
শুক্রবার বনগাঁয় সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচিতে দেদার এই চশমা বিলিয়েছেন গোপাল। চশমার কারসাজি দেখে তাজ্জব পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। গোপাল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিবহণ দফতরের রাজ্য সরকারি প্রতিনিধি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হেলমেট নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো যায় কী ভাবে, কর্মসূচিকে কী ভাবে আকর্ষণীয় করা যায়, সে সব ভাবছিলাম। গুগল ঘাঁটতে ঘাঁটতে এই চশমার আইডিয়া পেয়ে গেলাম। এমন চশমা চোখে দিলে বাইক চালকদের হেলমেট পরার কথা মনে হবে। এমনকী, ঘরের টেবিলে পড়ে থাকলেও এই চশমার দিকে তাকালে হেলমেটের কথা মাথায় আসবে।’’
চশমা নিয়ে এ দিন দিনভর চর্চা চলেছে বনগাঁয়। গোপাল বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, আরও কিছু চশমার বরাত দিতে লাগবে!’’