Sovandeb Chattopadhyay

Khardah Bypoll: ‘লড়াকু সৈনিক’ বনাম ‘ঘরের ছেলে’, শোভনের বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটপ্রার্থনা জয়ের

খড়দহ উপনির্বাচনে তৃণমূলের পোড়খাওয়া রাজনীতিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে লড়াইতে নেমেছেন এলাকার বাসিন্দা জয় সাহা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়দহ শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৪৯
Share:

খড়দহ উপনির্বাচনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে লড়াইতে নেমেছেন (ডান দিকে) জয় সাহা। —ফাইল চিত্র।

শাসকদলের প্রবীণ রাজনীতিক বনাম ‘ঘরের ছেলে’। খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের পোড়খাওয়া রাজনীতিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন এলাকার বাসিন্দা জয় সাহা। এই কেন্দ্রে প্রচারেও যিনি নিজেকে ‘ঘরের ছেলে’ বলে পরিচয় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শোভনদেবকে যিনি ‘বহিরাগত’ বলেও উল্লেখ করেছেন ভোটারদের কাছে। বুধবার শেষবেলার ভোটপ্রচারেও জয়ের দাবি, শনিবার খড়দহ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন বহিরাগতের বদলে স্থানীয় প্রার্থীকেই সমর্থন করবেন ভোটাররা। যদিও ‘আত্মবিশ্বাসী’ শোভনদেবের পাল্টা দাবি, জয়ের পর উন্নয়নের কাজে নেমে পড়তে চান তিনি।

বুধবার এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটপ্রচারের শেষ দিন। ফলে শেষ মুহূর্তের তৃণমূল এবং বিজেপি— দু’দলই প্রচার সেরে নেয়। শেষবেলার প্রচারে অবশ্য অভিনবত্ব দেখা যায়নি বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে। বরং খড়দহ এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার সেরেছেন জয়। তবে মূলত অবাঙালির বসবাস বেশি, এমন এলাকাতেই প্রচারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জয়ের সঙ্গী হিসাবে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষও ছিলেন। প্রচারের ফাঁকেই শোভনদেবকে নিয়ে জয়ের মন্তব্য, ‘‘বহিরাগত প্রার্থী নয়, স্থানীয় প্রার্থীর সমর্থনেই খড়দহের মানুষ ভোট দেবেন।’’

Advertisement

জয়ের মতোই শোভনদেবের হয়ে প্রচারে ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছেছে তৃণমূল। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলের খড়দহের নির্বাচন আহ্বায়ক সুকণ্ঠ বণিক ভোটপ্রচার করেন।

প্রসঙ্গত, খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী কাজল সিংহ। তবে ২ মে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সে জন্য উপনির্বাচন হচ্ছে এই কেন্দ্রে। অন্য দিকে, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ের পর তা ছেড়ে দেন শোভনদেব। খড়দহে জয়ের বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী তিনি। জয়ের পর খড়দহের রাস্তাঘাট, বেহাল নিকাশি, পানীয় জলের সমস্যা মেটানো ছাড়াও নানা উন্নয়নের কাজে নেমে পড়তে চান তিনি। নিজেকে তৃণমূলের ল়ড়াকু সৈনিক বলে পরিচয় দিয়ে শোভন বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছি। (খড়দহে) জয়ের পর উন্নয়ন হবে আমার একমাত্র লক্ষ্য।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement