ধৃত দুই তরুণী এবং তাদের থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী। নিজস্ব চিত্র
সন্দেহবশত সোমবার রাতে দুই তরুণীকে আটক করেছিল সোনারপুর থানার পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই দুই তরুণীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল টাকার চোরাই সামগ্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সোনারপুর এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল ওই তরুণী। তাদের কাছে ছিল বেশ বড় আকারের দু’টি বস্তা। রাতে পুলিশের পেট্রোলিং ভ্যান ওই দুই তরুণীকে আটক করে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই তরুণী আসলে চোর। তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা। বারুইপুর, নরেন্দ্রপুর, সোনারপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বহু বাড়িতে ওই দুই তরুণী চুরি করেছে বলেও অভিযোগ।
দুই তরুণীর কাছে যে বড় আকারের বস্তা মিলেছে তাতে বৈদ্যুতিন সামগ্রী, অলঙ্কার, বাসনপত্র-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই দুই তরুণী বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি করেছিল। তাদের কাছে মিলেছে গর্ভনিরোধের প্যাকেটও। আর তা দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই তরুণী জেরায় স্বীকার করেছে, চুরি করতে গিয়ে কোথাও ধরা পড়ে গেলে তারা সরাসরি সঙ্গমের প্রস্তাব দিত। তাই ‘বিপদ’ থেকে বাঁচতে তারা গর্ভনিরোধের প্যাকেটও সঙ্গে রাখত বলে জেরায় জানিয়েছে ওই দুই তরুণী।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা নামলেই ‘অপারেশন’ শুরু করত ওই দু’জন। তারা কোনও পাড়ায় কাগজ কুড়ানোর নাম করে ঢুকত। এর পর তারা এলাকার সব বাড়িতেই নজরদারি চালাত। কোনও বাড়িতে আলো না জ্বললে তারা তালা ভেঙে ঢুকে পড়ত এবং সেই বাড়ি থেকে দামি সামগ্রী চুরি করত। তাদের কাছে তালা ভাঙার যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।