Bhangar

তৃণমূল নেতার বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ, ভাঙড়ে সাত যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ

ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে বাড়ি তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিমের। গত মঙ্গলবার আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:২৫
Share:

ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। — নিজস্ব চিত্র

রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে এবং ঘটনাস্থলের কাছের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখিয়ে শুক্রবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সাবির মোল্লা, রশিদ আলি মোল্লা, আশিক মিস্ত্রি, রাকেশ মণ্ডল, মন্টু শেখ, আব্দুর রহমান, আসাদুর রহমান মোল্লা। এঁরা প্রত্যেকেই ভাঙড়ের বাসিন্দা। তাঁদের বয়সও ২৫ থেকে ৪০-এর মধ্যে।

Advertisement

অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে বাড়ি তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিমের। গত মঙ্গলবার আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সময় প্রাণ বাঁচাতে খাটের তলায় আশ্রয় নেন করিম। তাঁর বাড়ির দরজা জানালার পাশাপাশি খাটেও গুলির দাগ রয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ রাতেই করিমের বাড়িতে যায়। উদ্ধার হয় গুলির খোল। তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি অভিযোগ করেন, ব্লক সভাপতি কাইজার আহমেদের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন কাইজার।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তদন্তে নেমে ৭ জনের নাম জানতে পারে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল কাইজার-সহ ভাঙড়ের কয়েক জন তৃণমূল নেতাকে। এর পর শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আর কারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement