কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল এখানে শক্তিশালী হল। প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ যোগ দিলেন কংগ্রেসে। বাগদা ব্লকের মালিপোতা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এর ফলে দল এখানে শক্তিশালী হল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগদার নাটাবেড়িয়া এলাকায় জেলা কংগ্রেসের (গ্রামীণ) কার্যকরী সভাপতি কৃষ্ণপদ চন্দের উপস্থিতিতে সংখ্যালঘুরা কংগ্রেসে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন বাগদা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি প্রবীর কীর্তনিয়া, নীলদর্পণ ব্লকের সভাপতি রমেন বিশ্বাসেরা।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মাকড়া গ্রামটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। এ দিন সেখানকার ১৯ জন-সহ প্রায় ১০০ জন যোগদান করেন কংগ্রেসে। তবে পতাকা তুলে দেওয়া হয় ১৯ জনের হাতে। কংগ্রেস যোগদান করে নাজিমুদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা আগে কংগ্রেস করতাম। পরে তৃণমূলে গিয়েছিলাম। এখন আমাদের মনে হচ্ছে, কংগ্রেস আগামী দিনে দেশের ভবিষ্যৎ। কংগ্রেসের বিকল্প নেই। একমাত্র কংগ্রেসই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। সাগরদিঘির ভোটের ফলও আমাদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে। এ সব কারণেই কংগ্রেসে ফিরে এলাম।’’ কৃষ্ণপদ বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের উপরে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। সাগরদিঘির ভোটের ফল এখানকার সংখ্যালঘুদের উপরেও প্রভাব ফেলেছে।’’ তৃণমূল অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘বাগদায় কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। হঠাৎ করে সংখ্যালঘুরা কংগ্রেসে যোগদান করলেন কী ভাবে, সেই রহস্য আমরা খুঁজে বের করছি। ওঁরা তৃণমূল কর্মী ছিলেন কি না, খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি। ওঁদের কোনও অভাব অভিযোগ থাকলে কথা বলব।’’ এ দিন যোগদান পর্ব মিটে যাওয়ার পরে এলাকায় কংগ্রেস ও বামেরা যৌথ ভাবে মিছিল করেন। ভিড় হয়েছিল ভালই। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত বাগদায় কংগ্রেসের মজবুত সংগঠন ছিল। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতা-কর্মী তৃণমূলে নাম লেখান। ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে বাগদা ব্লকে কংগ্রেস কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সংগঠন দুর্বল হয়। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন দুলাল বর। পরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।