হতাশ: খরিদ্দারের প্রতীক্ষায় ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব চিত্র
সরকারি নির্দেশিকায় সুবিধার বদলে সমস্যাতেই পড়েছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।
বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত তাঁদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে বাজারে কোনও খরিদ্দারেরই কার্যত দেখা মেলেনি রবিবারের বাজারে। ক্যানিং বাজারের অনেক কাপড়ের দোকানদারই আজ, সোমবার থেকে আদৌ দোকান খুলবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন।
বস্ত্র ব্যবসায়ী অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘এই নির্দেশিকার কী মানে? কড়াকড়ি করতে হলে সম্পূর্ণ কড়াকড়ি হোক। দুপুরের সময় মাত্র তিন ঘণ্টা আমাদের ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই কাঠফাটা রোদে ভরদুপুরে মানুষ কী ভাবে বাজারে আসবেন? তার উপর সমস্ত যানবাহনও বন্ধ!’’ বছরের অন্যান্য সময়ে সাধারণত রবিবার ব্যবসা ভাল হয় কাপড়ের দোকানে। কিন্তু রবিবার দুপুরে ক্যানিং বাজারে তিরিশটির বেশি জামা-কাপড়ের দোকান খুললেও প্রায় কোনও দোকানেই খরিদ্দারের দেখা মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে দোকানের কর্মচারী, বিদ্যুতের বিল-সহ আনুষঙ্গিক খরচ মেটানো সমস্যার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সুজিত সাহা বলেন, ‘‘যেমন আগের নির্দেশিকায় সকালে তিন ঘণ্টা ও বিকেলে দু’ঘণ্টা দোকান খোলার নির্দেশ ছিল, তেমন হলেও কিছুটা বেচাকেনা হত। এখন যা হল, তাতে আমাদের শেষ করে দেওয়া হল। বিষয়টা একটু বিবেচনা করে দেখার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’’
কাপড়ের ব্যবসায়ীদের মতো একই অবস্থা সোনা ব্যবসায়ীদেরও। তাঁদেরও বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই পরিস্থিতির শিকার তাঁরাও। ক্যানিং বাজারের সোনা ব্যবসায়ী সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই সময়ে বাজারে খরিদ্দারের দেখা পাওয়া মুশকিল। এই পরিস্থিতিতে দোকান খোলা না খোলা দুই সমান।’’