Puja Shopping Down

ছাড়ের হাতছানিতেও প্রায় ফাঁকা শপিং মল

বসিরহাট শহরে জামাকাপড়ের বড় বাজার রয়েছে। ছোট-বড় প্রচুর দোকান আছে। পাশাপাশি, গত কয়েক বছরে বিশেষ করে ইডিন্ডা রোডের ধারে একাধিক শপিং মল তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নির্মল বসু 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর জি কর-কাণ্ডের জেরে প্রতিবাদ চলছে সর্বত্র। পুজোর বাজারেও কি তার আঁচ পড়ছে!

Advertisement

পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। কিন্তু এখনও বসিরহাটে জামাকাপড়ের বাজারগুলিতে সেই ভিড় চোখে পড়ছে না। ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করছেন, আর জি কর-কাণ্ডের জেরেই মানুষ উৎসবমুখী হতে পারছেন না। বাকিরা আশা করছেন, পুজোর দিন যত এগিয়ে আসবে, ছবিটা বদলাবে।

বসিরহাট শহরে জামাকাপড়ের বড় বাজার রয়েছে। ছোট-বড় প্রচুর দোকান আছে। পাশাপাশি, গত কয়েক বছরে বিশেষ করে ইডিন্ডা রোডের ধারে একাধিক শপিং মল তৈরি হয়েছে। অন্যন্য বার পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। বিশেষ করে মলগুলিতে পা রাখার জায়গা থাকে না। কিন্তু এ বারের ছবিটা অনেকটা আলাদা বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বড় ছাড়ের হাতছানিও শপিং মলগুলি সে ভাবে ক্রেতা টানতে পারছে না। ফাঁকা থাকছে ছোট দোকানও। একই ছবি দেখা যাচ্ছে বাদুড়িয়া, মিনাখাঁ-সহ আশেপাশের এলাকাগুলিতেও। ব্যবসায়ীদের অনেকেই মনে করছেন, আর জি কর-কাণ্ডের জেরেই মানুষ এখনও সে ভাবে উৎসবমুখী হননি। বসিরহাটের একটি শপিং মলের ম্যানেজার বাবলু সাউ বলেন, “আর জি কর-কাণ্ড কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। অজানা আতঙ্কে সন্ধ্যার মধ্যে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। মানুষের হাতে টাকা-পয়সাও নেই। আবহাওয়াও খারাপ। সেই কারণেই এই মন্দা।”

Advertisement

বসিরহাটের বস্ত্র ব্যবসায়ী কমল পাত্রের কথায়, “আর পাঁচটা বছর এই সময় থেকে ভিড় শুরু হয়ে যায়। এ বার সেই ভিড় দেখা যাচ্ছে না। দু’এক জন যা আসছেন, সকলে শপিং মলেই চলে যাচ্ছেন। আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছেন।” মিনাখাঁর বস্ত্র ব্যবসায়ী আলমুদ্দিন শেখ বলেন, “অন্যান্য বছর এই সময় আমাদের দোকানে প্রচুর ভিড় হয়। এ বছর সে ভাবে কেউ কেনাকাটা করতে আসছেন না। আর জি করের ঘটনায় বিচার না পেলে মনে হয় উৎসবের মেজাজে ফিরতে পারবেন না মানুষ।”

বসিরহাটের বাসিন্দা সুজয় দে, বাদুড়িয়ার কমলা মণ্ডলেরা বলেন, “আর জি করের ঘটনার পর থেকে পরিবার নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় আছি। এই পরিস্থিতিতে কেনাকাটা বা উৎসবে মন নেই। এর মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি আনন্দ কেড়ে নিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement