নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীবাঁধে আটকে পড়ল জাহাজ

হুগলি নদীতে ফলতার ৩ নম্বর সেক্টরের কাছে শনিবার একটি মালবাহী বার্জ ডুবে গিয়েছিল। রবিবার প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রামনগর থানা এলাকায়। এ দিন মাল-বোঝাই বিদেশি জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হুগলি নদীর বাঁধের কাছে চলে আসে। রাত পর্যন্ত আটকে থাকে জাহাজটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫ ০১:৪১
Share:

তীরে আসা তরী। নিজস্ব চিত্র।

হুগলি নদীতে ফলতার ৩ নম্বর সেক্টরের কাছে শনিবার একটি মালবাহী বার্জ ডুবে গিয়েছিল। রবিবার প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রামনগর থানা এলাকায়। এ দিন মাল-বোঝাই বিদেশি জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হুগলি নদীর বাঁধের কাছে চলে আসে। রাত পর্যন্ত আটকে থাকে জাহাজটি।

Advertisement

বারবার এই বাঁকের মুখেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে জাহাজগুলি। শনিবারের ডুবে যাওয়া বার্জটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে সেটি থেকে কাঠ সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। এরই মধ্যে রবিবার এই ঘটনা। শনিবারের দুঘর্টনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যেই ফের এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্যান্ডহেড থেকে ডকের দিকে আসছিল ‘হান্নামেরি’ নামে সিঙ্গাপুর থেকে আসা ওই জাহাজটি। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ফলতার নৈনাগের কাছে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা পূর্ব দিকে শিমূলবেড়িয়া গ্রামের বাঁধের ধারে এসে পড়ে। রামনগর থানা এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, “ইটভাটায় ইট কিনতে এসেছিলাম। দেখলাম জাহাজটি একেবারে পাড়ের দিকে চলে আসছে। দেখতে দেখতে গায়ের কাছে হুমড়ি খেয়ে এল।” দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজটি দেখতে ভিড় করেন বাসিন্দারা। পাড়ের কাছে চলে আসায় জাহাজটির প্রপেলর আটকে যায় চরের কাদায়। ভাটা পড়ায় দীর্ঘ ক্ষণ চেষ্টাতেও তা বের করা যায়নি।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে কলকাতার পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিকেরা জানান, যে এলাকায় সমস্যা হয়েছে, সেই লোয়ার ফলতা চ্যানেলের ওই অংশে স্রোতের বেগের তারতম্য একটু বেশি। তা ছাড়া, জাহাজে যান্ত্রিক গোলমাল থাকলে এ রকম দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তবে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই দুর্ঘটনা কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার রাতের মধ্যে জোয়ারের টানে ওই জাহাজটি স্বাভাবিক স্রোতে না ফিরে গেলে সোমবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement