ফাইল চিত্র।
উদ্বাস্তু মতুয়া সমাজকে দ্বিধাবিভক্ত করছেন বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দোষারোপ করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। রবিবার দুপুরে হাবড়ায় দু’টি কর্মসূচিতে আসেন তিনি। বিজেপির বাইক মিছিল শেষে কুমড়ায় শান্তনু বলেন, ‘‘উদ্বাস্তু মতুয়া সমাজকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন এখানকার বিধায়ক, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি ঠাকুরবাড়িকে ভেঙেছেন। সেখানে নোংরা পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। হাবড়ার মানুষ তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ।’’ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘২০১১ সালে ভোটের আগে বড়মা বীণাপানি ঠাকুরের পা ছুঁয়ে বলেছিলেন, ভোটে জিতে সিএএ নিয়ে কার্যকরী ভূমিকা নেবেন। কিছুই করেননি। উল্টে মতুয়া সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’’ উপস্থিত মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষের উদ্দেশ্যে শান্তনু বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, নাগরিকত্ব হাতে আসবেই। ভারতবর্ষে আমরা নাগরিকত্বের মর্যাদা নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব।’’ এ বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় পরে বলেন, ‘‘মতুয়ারা আমার প্রাণ। শান্তনুর কাছে না-ও হতে পারেন। আমি যখন ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলাম, শান্তনু তখন ছোট। কিছুই জানেন না। মতুয়া এবং ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন করেছেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সিএএ নিয়ে বিজেপি এবং শান্তনু মতুয়াদের ‘ধাপ্পাবাজি’ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশে করোনা ভ্যাকসিনের কাজ শেষ হলে সিএএ কার্যকর হবে। দেশে ১৩৭ কোটি মানুষ। ভ্যাকসিনের কাজ শেষ হতে ৮ বছর লাগবে। তত দিন বিজেপি থাকবে না। সবটাই ধাপ্পাবাজি।’’ সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যমন্ত্রী শান্তনুকে তৃণমূলের প্ল্যাটফর্মে এসে কাজ করার আহ্বান জানান। তা নিয়ে শান্তনু কটাক্ষ করেন। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘শান্তনু মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। ওঁকে রাঁচিতে পাঠিয়ে চিকিৎসা দরকার।’’