একটি থানা আছে সন্দেশখালিতে। সেটি ভেঙে তৈরি হচ্ছে নতুন আর একটি থানা। ফলে সন্দেশখালির দু’টি ব্লকে তৈরি হতে চলেছে দু’টি পৃথক থানা। ষোলোটি পঞ্চায়েত ভেঙে ৮টি পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হচ্ছে এক একটি থানা। সন্দেশখালি ১ ব্লকের থানাটি সন্দেশখালিতেই থাকছে। ন্যাজাটে তৈরি হচ্ছে সন্দেশখালি ২ ব্লকের থানা। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ন্যাজাটে নতুন থানার উদ্বোধন হবে। এ নিয়ে বসিরহাট মহকুমায় মোট ১০টি থানা হল।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, বসিরহাটের মাটিয়া এবং স্বরূপনগরের চারঘাটে আরও দু’টি থানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। বসিরহাট জেলা ঘোষণার আগে সব ক’টি থানার উদ্বোধন হওয়ার কথা। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সন্দেশখালি ১ বিডিও অচিন্ত্য মণ্ডল বলেন, ‘‘ন্যাজাটে থানা হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। আগে কয়েক মাইল পথ পেরিয়ে সন্দেশখালি থানায় যেতে হতো। এখন আর তা হবে না।’’ পাশাপাশি এলাকা কমে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষ উন্নত পরিষেবা পাবেন। প্রশাসনিক কাজেও অনেক সুবিধা হবে বলে প্রশাসনের আশা। এলাকাটি নদীবেষ্টিত। আগে পুলিশকে সন্দেশখালি থেকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হতো। যা সময়সাপেক্ষ বটে। ঠিক সময়ে পুলিশ পৌঁছতে পারত না। এখন আর তা হবে বলে আশা করছে পুলিশ মহল।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাজাটে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ইতিমধ্যে ওসির বসার ঘর, অফিস ঘর, মালখানা, ব্যারাক, রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে।
ন্যাজাটে একটি পরিপূর্ণ থানা হওয়ায় ন্যাজাট ১ ও ২, কালীনগর, সেহেরা-রাধানগর, বয়ারমারি ১ ও ২, হাটগাছি এবং সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবেন। ন্যাজাট ১, কালীনগর এবং সেহেরা-রাধানগর এই তিনটি পঞ্চায়েত নদীবেষ্টিত এলাকা। তিনটি অঞ্চলের মানুষের দাবি, ন্যাজাট ও কালীনগরের মধ্যে বেতনি নদীর উপরে প্রস্তাবিত সেতুর কাজ শুরু হলে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রণজিৎ দাস বলেন, ‘‘ন্যাজাটের মানুষের জন্য এটি খুবই ভাল খবর। এর ফলে এলাকায় দুষ্কৃতী উপদ্রব কমবে বলেই আমার আশা।’’