বাড়িতে পড়ে রয়েছে সাহাবুদ্দিনের সেলাই মেশিন। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতা খুনে সাহাবুদ্দিন জড়িত— মানতেই চাইছে না পরিবার।
সোমবার জয়নগরের বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে গুলি করে খুন করে তাঁকে। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। এক জনের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়। এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে জানা যায়, গণপিটুনিতে মৃত বছর পঞ্চান্ন ব্যক্তির নাম সাহাবুদ্দিন লস্কর। বাড়ি পাশের রাজাপুর করাবেগ পঞ্চায়েতের গোদাবর এলাকায়। তিনি ছিলেন পেশায় দর্জি।
মঙ্গলবার গোদাবরে সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, শোকস্তব্ধ পরিবেশ। বাড়িতেই দর্জির কাজ করতেন সাহাবুদ্দিন। পুজোর সময়ে সন্তোষপুর এলাকায় কাজে যান। সেখানেই থেকে কাজ করতেন। সোমবারও কাজে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। পরে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।
সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী জরিনা লস্কর বলেন, “আমার স্বামী সে ভাবে রাজনীতিতে থাকতেন না। কাজ করতেন। ভোর ৪টের সময়ে কাজে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরোন। মানুষটা বেরোল কাজে। আর লোকে পিটিয়ে মেরে দিল। এটা কিছুটাই মেনে নিতে পারছি না। বিচার চাই।”
বাবার মৃত্যুর বিচার চান সাহাবু্দ্দিনের বছর আঠারোর মেয়ে রুবিয়া লস্করও। তাঁর কথায়, “আমার বাবা খুন করতে পারেন না।যদি কোনও অন্যায় করেও থাকেন, পুলিশ আছে, আইন-কানুন আছে।এ ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল কেন?”
সাহাবুদ্দিনকে পরিকল্পনা করেই মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর এক ভাই। তিনি বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষ। খেটে খাই। খুনখারাপির মধ্যে থাকতে যাব কেন! ভাই ওই এলাকা দিয়েই কাজে যায়। মনে হচ্ছে, চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, পুলিশ ব্যবস্থা নিক। কিন্তু ভয়ে থানায় যেতে পারছি না।”
সইফুদ্দিন বা অন্য কোনও তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি পরিবারের।